আজ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী, তার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কালক্রমে তার হাত ধরেই বিশ্ব মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে স্থান করে নেয় বাংলাদেশ।
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবের জন্মদিন জাতীয় শিশু দিবসে নানা কর্মসূচি রয়েছে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে।
রোববার সকাল পৌনে ৭টায় ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফুল দেন শেখ হাসিনা। এরপর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিসেবে দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি।
পরে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। আওয়ামী লীগ শীর্ষ নেতারা এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পরে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামসহ একে একে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ, কৃষক লীগসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, “আগামী বছর ২০২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী। ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন করা হবে। দেশের পাশাপাশি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাব।”
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে রোববার সকালে ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরসহ দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
