এখন রিপোর্ট
বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব এম এ আউয়াল এমপি মনে করেন, দেশে চলমান অস্থিরতা, জঙ্গিবাদ-সহ সবকিছুই সম্ভব হয়েছে খালেদা জিয়া কারণেই। তিনি জঙ্গিদের মাথায় হাত না রাখতেন তাহলে দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হত না। বাংলাদেশের চেহারা আজ এমন হতো না।
১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় এ মন্তব্য করেন আউয়াল। শনিবার কাজী বশির মিলনায়তনে (মহানগর নাট্য মঞ্চ) এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এম এ আউয়াল বলেন, বাংলাদেশে যতদিন খালেদা জিয়া রাজনীতিতে থাকবে ততদিন ধর্ম, মানবতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কোনটাই নিরাপদে থাকবে না। ইসলামের দোহাই দিয়ে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। ইসলামকে ব্যবহার করছে তারা।
প্রথমে জিয়া পরে খালেদা জাতির জনকের স্বপ্নের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন উল্লেখ করে এম এ আউয়াল বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধী জামায়াতে ইসলামকে রাজনীতিতে এনেছে। তাদের হাতে ক্ষমতা দিয়েছে। পরবর্তীতে তার স্ত্রী খালেদা জিয়া জামায়াতে ইসলামকে শুধু পুনর্বাসনই করেন নাই তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যায় আন্তর্জাতিক চক্রান্তের মূল হোতা দাবি তার মরনোত্তর বিচার দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
হানিফ বলেন, সত্য কখনই চাপা থাকে না। জিয়াউর রহমানের মুখোশ আরও আগেই উন্মোচিত হয়েছে। ১৯৭৩ সালে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সামরিক বাহিনীর একটি কনফারেন্সে গিয়ে পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার কক্ষে ৩ ঘন্টাব্যাপী বৈঠক করেছেন।
‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকীতে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল’ শীর্ষক সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ডক্টর সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী। এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ চৌধুরী, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের সদস্য আমিনুল ইসলাম আমিনসহ তরিকত ফেডারেশনের নেতাকর্মীরা।
এস/
