ঘুম না আসলে যা করবেন

1105

সুস্থ থাকার জন্য ঘুম জরুরি।তবে তা হতে হবে পরিমিত। কম বা বেশি ঘুম দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। যারা নিদ্রাহীনতায় ভোগেন, তারা ঘুমের জন্য অনেক সময় ঘুমের বড়ি খেয়ে থাকেন। যা কিনা স্বাস্থ্যের জন্য আরো বেশি ক্ষতিকর। কিছু কাজ আছে যা নিয়ম মেনে করলেই ঘুম চলে আসতে বাধ্য! চলুন তবে জেনে নেই আরামে ঘুমাতে ৮ উপায় –

নাকের বাম অংশ দিয়ে শ্বাস নিন

এই যোগব্যায়াম পদ্ধতি রক্তচাপ কমাতে এবং আপনাকে শান্ত করতে সাহায্য করে। হোলিস্টিক ঘুম থেরাপিস্ট পিটার স্মিথ বলেছেন, আপনার নাকের বাম পাশ দিয়ে শ্বাস নিন ও ডান পাশ একটি আঙুল বন্ধ করে রাখুন। বাম নাক দিয়ে ধীর শ্বাস নিন। এই কৌশল বিশেষভাবে ভালো কাজ করে যখন খুব গরম হয়।

জেগে থাকার চেষ্টা করুন

শুনতে হয়তো অবাক-ই লাগছে। আসলে এই পদ্ধতিকে বলা হয় ‘ঘুম প্যারাডক্স’। মনোবিজ্ঞানী জুলি হার্স্ট বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন যে, “আপনার চোখ খোলা রাখুন্ এবং বার বার বলুন ‘আমি ঘুমাবো না’। এতে মস্তিষ্ক স্থির হবে সঙ্গে চোখের পেশী ক্লান্ত হয়ে ঘুম আসবেই।

অল্প খাবার

নৈশভোজে বেশি পরিমাণ খাওয়া উচিত নয়। রাতে বেশি খেলে তা হজমের সমস্যা তৈরি করে। সহজে ঘুমও আসতে চায় না।

ব্যায়াম

রাতে ব্যায়াম করা উচিত নয়। এতে শরীরে বেশি এনার্জি আসে। ফলে ঘুম আসতে চায় না। বরং সকালের ব্যায়াম উপকারী।

চকোলেট

ঘুমানোর আগে চকোলেট পরিহার করা উচিত। আসলে চকোলেটে থাকে ক্যাফিন, যা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।

রাতের স্ন্যাক্স

দেরি করে ঘুমোতে যাওয়া যদি আপনার অভ্যাস হয় তাহলে নিশ্চয়ই টুকটাক স্ন্যাক্স জিভে ঠেকাতে হয়? রাতে খিদে পেলে খান, তবে সামান্য পরিমাণে।

জলপান

সারাদিন কমপক্ষে দুই লিটার পানি পান করা উচিত। সারাদিন পরিশ্রমের ফলে শরীরে আর্দ্রভাব কমে যায়। ফলে বেশি ক্লান্ত লাগে। এই অবস্থায় বেশি করে পানি পান করলে শরীর আর্দ্র থাকে। রাত্রে সুনিদ্রায় যা সহায়ক।

রিল্যাক্স

সারাদিন পরিশ্রমের মধ্যে অল্প ব্রেকে ঘুমিয়ে নিলে শরীর বেশ সতেজ থাকে। এই কম সময়ের ঘুমও আপনাকে চাঙ্গা করে তুলবে।