গুপ্তহত্যাকারীদের খুঁজে বের করা হবে: প্রধানমন্ত্রী

984
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

এখন রিপোর্ট।।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “গুপ্তহত্যা বন্ধ করা সময়ের ব্যাপার। গুপ্তহত্যাকারীদের খুঁজে খুঁজে বের করা হবে। বিএনপির প্রকাশ্যে মানুষ হত্যা বন্ধ করতে পেরেছি। গুপ্তহত্যাও বন্ধ করতে পারব।”

শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “কেউ কাউকে আঘাত করলে দয়া করে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবেন না। এক জোট হয়ে প্রতিরোধ করবেন, আমরা আপনাদের পাশে থাকব।”

‘আওয়ামী লীগই হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটাচ্ছে’—বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, “বিএনপি নেত্রী বলেছেন, আওয়ামী লীগ খুন করছে। খুন করার অভ্যাস আমাদের নয়, তার আছে। কারণ, তারা আমাকে খুন করার জন্য বারবার চেষ্টা করেছে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গুপ্তহত্যাকারীদের খুঁজে খুঁজে বের কর​ব। সূত্রটা কী, কাদের মদদে, কারা অর্থ দিচ্ছে। কাদের পরিকল্পনায় এই কাজগুলো তারা করছে-এই সূত্রগুলো খুঁজে বের করা হবে। কিছু সূত্র পাওয়া যাচ্ছে, একসময় সবকিছু বের হবে।’

তিনি বলেন, “গুপ্তহত্যা ঘটিয়ে কেউ পালানোর চেষ্টা করলে তাকে ধরার চেষ্টা করবেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পাশে থাকবে। প্রতিরোধ করবেন। ঠিক যেভাবে প্রতিরোধ করেছিলেন ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত।”

এক-এগারোর গ্রেফতারের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, “আমার বাসায় কাউকে ঢুকতে দিত না, কাউকে বেরোতে দিত না। বলতে গেলে হাউস অ্যারেস্টের মতো বলা চলে। কোনো এক ফাঁকে বের হয়ে আমি ল্যাবএইডে সাবিনাকে দেখতে গেলাম। সেখানে আমি প্রেস পেলাম। আর কখন পাই না-পাই, আমার যা কিছু বলার বলে যাই। আমি একটু ভালোভাবেই বললাম। তার এক দিন পরেই গ্রেফতার করা হলো। আমার স্বামী অসুস্থ ছিলেন। তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। বাসার সবকিছু তছনছ করা হয়। বাসার কম্পিউটার নিয়ে গেল, সবকিছু তন্ন তন্ন করে খুঁজল। আমাকে নিয়ে গেল। এখন যেটা হুইপের বাসা, ওটা তখন মালপত্র রাখার স্থান ছিল।”

তিনি আরও বলেন, “এক-এগারোর সময় একটা প্রস্তাব তাদের সব সময় ছিল, সেটা হলো নির্বাচন করবেন না, আপনাকে প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে রাখব। আমি জিজ্ঞাসা করতাম, প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদা মানে কী? আর আমাকে কী দেবেন আপনারা। আমি তো নিজে প্রধানমন্ত্রী ছিলাম। আর বাবা ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। তিনি প্রধানমন্ত্রীও ছিলেন। আমি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে। নিজে প্রধানমন্ত্রী ছিলাম। আমাকে আপনারা আর কী মর্যাদা দেবেন। মর্যাদা মানে একখানা ভালো বাড়ি, গাড়ি এই তো! ওটার জন্য আমি রাজনীতি করি না। আমার পরিষ্কার কথা, আমি দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।”

সভায় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সব সদস্য এবং ২০তম জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত বিভিন্ন উপকমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এখন/এসএস
সঙ্গে থাকতে লাইক দিন: https://www.facebook.com/ekhon247