গাজীপুরের ফল প্রত্যাখ্যান বিএনপির

630

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে পুনরায় নির্বাচন দাবি জানিয়েছে বিএনপি। বুধবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম অালমগীর এ দাবি জানান।

সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এ নির্বাচন নির্বাচনের নামে শুধুমাত্র একটি তামাশা। ভোট ডাকাতির নতুন নতুন কৌশল আবিষ্কার করে তা প্রয়োগ করেছে। আমরা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফলাফল ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করছি। এ নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানাচ্ছি।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ করে বাতিলের দাবি জানালেও আন্দোলনের অংশ হিসেবে বরিশাল, রাজশাহী এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে বলে জানান মির্জা ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার আবার প্রমাণ করলো তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগের সরকার ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও নির্লজ্জভাবে একের পর এক নির্বাচনে ভোট ডাকাতি করে সকল নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করেছে। খুলনায় নতুন কৌশলে ভোট ডাকাতি করে তারই ধারাবাহিকতায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ফলাফল নিজেদের পক্ষে নিয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় গাজীপুরের নির্বাচনে আর এক কলঙ্কময় অধ্যায় সংযোজন করলো। জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে স্বৈরাচার এবং একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে সমাহিত করছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রায় প্রতিটি উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নজীরবিহীন ভোট ডাকাতির মধ্য দিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছে।

তিনি বলেন, জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই গ্রেফতার, সাদা পোশাকের পুলিশ দিয়ে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি, ভাংচুর, বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের মাঠে থাকতে না দেওয়া, নির্বাচনের আগের রাত থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে সীল মারা, নির্বাচনের দিন এজেন্টদের জোরপূর্বক বের করে দেয়া সম্পর্কে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।