খালেদা জিয়ার উকিল নোটিশের জবাব সময়মতো দেবো

প্রধানমন্ত্রী

575

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দেয়া উকিল নোটিশের জবাব সময়মতো দেবেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিদেশি গণমাধ্যম খালেদা জিয়ার পরিবারের লুটপাটের সংবাদ প্রকাশ করে, আর এটা আমি কেন বললাম, এজন্য আমাকে নোটিশ দেন। এ রকম নোটিশ বহু দেখেছি। সময়মতো এই নোটিশের জবাব দেবো।

শনিবার সন্ধ্যায় দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্টিত সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় কমিটির অধিকাংশ নেতা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি সংক্রান্ত মন্তব্য করায় গত ১৯ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উকিল নোটিশ পাঠান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এতে জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি সংক্রান্ত ‘অপবাদমূলক বক্তব্য’ দেওয়ার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খালেদা জিয়ার কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ারও আহ্বান জানানো হয়।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘যদি সৎ সাহস থাকে, সত্যি কোনও অপরাধ করে না থাকেন, যেসব মিডিয়া খবর দিয়েছে, তাদের নোটিশ দিন। তাদের প্রতিবাদ জানান। তাহলে বোঝা যাবে, সততার একটা শক্তি আছে। তিনি সেটাও পারেননি।’

এ সময় ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন সরকার প্রধান। তিনি বলেন, ‘৫ জানুয়ারির নির্বাচন কোনোভাবেই ভোটারহীন হয়নি। ওই নির্বাচনে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে।খালেদা জিয়া ভোট ঠেকানোর নামে অগ্নিসংযোগ করেছেন। স্কুল পুড়িয়েছেন। প্রিসাইডিং অফিসার হত্যা করেছেন। এরপরও জনগণ রুখে দাঁড়িয়ে নির্বাচনে ভোট দিয়েছে। জনগণ ভোট দিয়েছে বলেই আমরা চার বছর পূর্ণ করতে পারলাম। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া ভোট চুরি করেছিলেন বলেই ক্ষমতা ৫ বছর পূর্ণ করতে পারেননি। ৮৮ সালে নির্বাচন করে ৯০ সালে এরশাদের পতন হয়েছিল। ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহিন নির্বাচন করে খালেদা জিয়া দেড় মাসও ক্ষমতায় থাকতে পারেননি।’

খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি ও তার ছেলে বার বার আমাকে তারা হত্যার চেষ্টা করেছেন। তার স্বামী আমার বাবা ও মাকে হত্যা করেছেন। ভাই-বোনকে হত্যা করেছেন। এখন তিনি আমাকে বার বার হত্যার চেষ্টা করছেন। না পেরে অপবাদ দেয়ার চেষ্টা করছেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে। অনেকে এ বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। কারণ তাদের অনেকের অন্তরে পেয়ারে পাকিস্তান। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্য সংগ্রাম করেছে। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে মানুষের কল্যাণে বিশ্বাস করে। এ কারণে আওয়ামী লীগ নাম শুনলে অনেকের গাত্রদাহ হয়।