খালেদার সাত বছরের শাস্তি চায় রাষ্ট্রপক্ষ

551

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাত বছরের শাস্তি চায় রাষ্ট্রপক্ষ। মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপনের সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এই শাস্তি দাবি করেন।

৩০ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করে রাষ্ট্রপক্ষ।

যুক্তি উপস্থাপনে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘‌বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে (২০০১ থেকে ২০০৬ সাল) ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজে ও অন্যকে লাভবান করার জন্য জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট গঠন করেন। মামলায় খালেদা জিয়ার সাত বছরের শা‌স্তি চাই।’‌

তিনি বলেন, ‘‌বেগম খালেদা জিয়া ব্যক্তিগত স্বার্থে এ ট্রাস্ট গঠন করেন। ব্যাংক একাউন্ট খোলার সময় তিনি পেশার কথা লিখেননি। তিনি সে সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ত‌বে তি‌নি প্রধানমন্ত্রীর প‌রিচয় গোপন রা‌খেন। যা অপরাধ।’‌

মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৫৪ মিনিটে রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে উপস্থিত হয়ে চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় হাজিরা প্রদান করেন খালেদা জিয়া। দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে মোশাররফ হোসেন কাজল এ মামলার যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন, শেষ করেন ২টা ৫৮ মিনিটে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় আরও একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটি এর সাবেক নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।