কুবির ফটকের সামনে অবাধে যান-চলাচল, নেই গতিরোধক

618

কুবি প্রতিনিধি :

সড়কে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় যানবাহন চলাচলের জন্য স্থাপন করা হয় গতিরোধক (স্পিডব্রেকার)। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ কিংবা বাজারের মত জায়গার পার্শ্ববর্তী ব্যস্ত সড়কসমূহে অধিক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় গতিরোধকের। অন্যত্র আবার রাস্তা পারাপারের নির্দিষ্ট স্থানে কিছু সময় যানবাহনের নিয়ন্ত্রিত চলাচলের উদ্দেশ্যেও ব্যবহৃত হয় সতর্কতামূলক এই ব্যবস্থাটি।

received_2211092569140400 received_1199763573522122

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) একাডেমিক ভবনের সামনের মূল ফটকে সিএনজি, মটরসাইকেল, অটোরিকশা ও পর্যটকদের বহনকারী বাসের মত যানবাহনের সার্বক্ষণিক চলাচল তবে গতিরোধক না থাকায় এসকল যানবাহন বেপরোয়াভাবে চলাচলের ফলে সৃষ্টি হয় দুর্ঘটনার ঝুঁকি। তবুও প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারন মানুষ।

এ বিষয়ে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম হানিফ বলেন, ‘ফটকের সামনে স্পিড ব্রেকারের দরকার। এখানে এলোমেলোভাবে গাড়ি চলাচল করছে সবসময় খুব দ্রুতগতিতে। এই সড়ক দিয়ে যদি গাড়ি এভাবে চলাচল করতে থাকে যেকোনো সময় আমাদের যে কারোরই মারাত্মক একটা দুর্ঘটনার মুখোমুখি হতে হবে।’

এই প্রসঙ্গে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রাকিব হোসেন বলেন, ‘ক্যাম্পাসের দক্ষিণমোড়-কোটবাড়ি পর্যন্ত সড়কে প্রতিনিয়ত যানবাহনের আসা-যাওয়া চলছে, আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে বিভিন্ন নতুন পার্ক (ডাইনোসর, ম্যাজিক প্যারাডাইস) গড়ে উঠায় ভ্রমণে আসা অধিকাংশ যানবাহন প্রতিনিয়ত চলাচলে এই সড়কে ব্যস্ততার মাত্রা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এই যানবাহনের মাত্রাতিরিক্ত গতির ফলে গেইটের সামনের এই রাস্তায় গতিরোধকের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি।’

  • received_360844977951635

অন্যদিকে ক্যাম্পাসের আবাসিক হলসমূহের ফটকের সামনেও প্রায় একই অবস্থা দেখা যায়। এরমধ্যে দুটি হলের ফটকে সামনের গতিরোধক থাকলেও তা এখন বিলীনপ্রায়। এজন্য হলে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা দূর্ঘটনার ঝুঁকিতে নিত্য তাদের ফটকের রাস্তা পেরুতে হয়।

নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো.সাদেক হোসেন মজুমদার বলেন, ‘এটা তো আমার কাজ না, শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে যদি দাবি করে তাইলে প্রকৌশল দপ্তর অথবা প্রশাসন যা কিছু কাজ করবে।’

এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী এস. এম. শহিদুল হাসান বলেন, ‘স্পিডব্রেকার বসানোর জন্য এই রাস্তাটা যে সংস্থার অধীনে করা হয়েছিল, তারা এ বিষয়ে উদ্যোগ নিবেন। এ প্রসঙ্গে আমি উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরের সাথে কথা বলে জানতে পারি, স্পিডব্রেকার বসানোর জন্য কিছু নিয়মকানুন আছে। যেনতেনভাবে না বসিয়ে আইন অনুযায়ী একটা নির্দিষ্ট দূরত্বে স্পিডব্রেকার বসাতে হয়। তবে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে আপনারা নিজ দায়িত্বে যদি এটি বসান তবে আমরা দেখেও না দেখার ভান করবো।’

প্রকৌশল দপ্তর থেকে গতিরোধকের কাজটি করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যথাযথভাবে প্রশাসনের কাছে আবেদন করলে প্রশাসন থেকে আমাদের নির্দেশনা দিলে আমরা কাজ করতে পারবো।’