কাস্টমসের সাবেক সদস্যর বিরুদ্ধে মামলা

598

সাড়ে ৬৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নুরুল ইসলাম মংলা কাস্টম হাউসের সাবেক কমিশনার ছিলেন।

মঙ্গলবার রমনা মডেল থানায় দায়েরকৃত মামলায় উপপরিচালক এসএমএম আখতার হামিদ ভূঞা বাদী হয়েছেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য এসব তথ্য নিশ্চিত করছেন।

এছাড়া নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রসাধনী পণ্য আমদানির আড়ালে সাড়ে ৪ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে দুদক প্রথম মামলাটি করেছিল।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৯ আগস্ট আসামি মোহাম্মদ নুরুল ইসলামের দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী পর্যালোচনায় দেখা যায়, তিনি ১৯৯৯-২০০০ করবর্ষ থেকে তার আয়কর নথি চালু করেন। দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে ২৯ লাখ ৫৮ হাজার ২০০ টাকার সম্পদ এবং ১ লাখ ২৫ হাজার ১৬৭ টাকা দায়-দেনা দেখিয়েছেন। গত ২০০১-২০০৩ সালে ক্যাপ্টেন এম আমিনুল হকের কাছ থেকে নুরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মিসেস কামরুন বদর এবং শ্বশুর মো. আনসার উদ্দিন খান যৌথভাবে মোট ৮২ লাখ টাকায় ঢাকার বারিধারা ডিওএইচএসে প্লট ক্রয় করেন। এতে নুরুল ইসলাম আরব বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে ৬৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা পে-অর্ডারে পরিশোধ করেন। যা তার আয়কর নথি ও সম্পদ বিবরণীতে প্রদর্শন করেননি।

দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে তিনি গোপন করে ওই টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে নিজ দখলে রেখেছেন যা অনুসন্ধানকালে প্রমাণিত হয়েছে। এ অবস্থায় আসামি সাবেক কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬(২) এবং ২৭(১) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।