কলেজছাত্র রাজীবের মৃত্যু : ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের রায় ১৫ মে

592

ঢাকা: সড়ক দুর্ঘটনায় তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীবের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে কেন ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে জারি করা রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষ করেছেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য আদালত ১৫ মে দিন ধার্য করেছেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রায়ের দিন ঠিক করে আদেশ দেন।

আদালতে আজ বুধবার আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

এর আগে ২০১৮ সালের ৩ এপ্রিল রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারার কাছে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারান ছাত্র রাজীব। দুই বাসের চাপায় তার ডান হাত কনুইয়ের ওপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দুর্ঘটনার পরপরই তাকে পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে নেয়া হয়। পরদিন ৪ এপ্রিল রাজীবের চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজীবের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। ১৩ দিন চিকিৎসার পর ১৬ এপ্রিল মধ্যরাতে সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রাজীব।

এরপর তার মৃত্যুর সংবাদ আদালতকে অবহিত করেন রিটকারী আইনজীবী। পরে আদালত রিটের শুনানি নিয়ে তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীবের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে কেন ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেয়া হবেনা, তা জানতে চেয়ে জারি করেন। যার ধারাবাহিকতায় ওই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে আদালত এ মামলার রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেন।

প্রসঙ্গত, পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বাঁশবাড়ি গ্রামের রাজীব তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় মা এবং অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় বাবাকে হারান। ঢাকার মতিঝিলে খালার বাসায় থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন স্নাতকে। কখনও টিউশনি করে, কখনও বা পার্টটাইম কাজ করে নিজে পড়াশোনা করেছেন এবং দুই ভাইকেও বানিয়েছেন কোরআনের হাফেজ।