এমপিওভুক্তির আবেদন আগামী সপ্তাহে

727

নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আবেদন আগামী সপ্তাহ থেকে অনলাইনে নেয়া শুরু হবে। এ লক্ষ্যে একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে। সেটি চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে আজ ব্যানবেইসে বৈঠক ডাকা হয়েছে। নতুন এমপিওভুক্তি সংক্রান্ত কমিটির প্রধান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাভেদ আহমেদ এ তথ্য জানান।

ওদিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আমরণ অনশনরত শিক্ষকদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-২ ওয়াহিদা আক্তার শনিবার দুপুরে আন্দোলন আহ্বানকারী সংগঠনের সভাপতিকে টেলিফোনে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা জানান। কিন্তু নেতারা সেই তথ্য গোপন করে কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন। শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে আজ তারা অনশনস্থলে সংহতি সমাবেশ করবেন। তবে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা আদায়ের জন্য পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে তারা যোগাযোগও করছেন। এর অংশ হিসেবে রোববার বিকালে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন অনশনরত শিক্ষকদের সংগঠন ননএমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সিনিয়র সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম ও সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন। এ সময় তারা সচিবের কাছে এমপিওভুক্তির বিকল্প প্রস্তাব এবং যে নীতিমালা অনুযায়ী এমপিও চান, সেটি হস্তান্তর করেন। ওই প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পৌঁছে দেয়ার ব্যাপারে সচিব শিক্ষকনেতাদের জানান। পাশাপাশি তিনি বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা সচিবের সঙ্গে সাক্ষাতের পরামর্শ দেন।

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আহ্বানের পরও অনশন চালিয়ে যাওয়ার প্রশ্নে ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানের প্রতি সম্মান জানাই। তিনি ৫ জুলাই সংসদে নীতিমালা অনুযায়ী এমপিও দেয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু সেই নীতিমালা অনুযায়ী আমাদের অনেক প্রতিষ্ঠানই এমপিও পাবে না। তাই আমরা এমপিওভুক্তির ব্যাপারে বিকল্প ২টি প্রস্তাব দিয়েছি। সেই আলোকে এমপিও চাই।’

সাধারণ সম্পাদক ড. বিনয়ভূষণ রায় বলেন, ‘আমরা এক মাস ধরে আন্দোলন করছি। সরকার এমপিও দেয়ার উদ্যোগও নিয়েছে। কিন্তু সেই এমপিও যদি না পাই তাহলে আর কিছু থাকে না। তাই দৃশ্যমান কিছু একটা না নিয়ে উঠে যেতে পারি না। এজন্যই আমরা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাই। এরপরই আমরা কর্মসূচির ব্যাপারে পরবর্তী ঘোষণা দেব।’ উল্লেখ্য, আজ বেলা ১১টা থেকে প্রেস ক্লাবের সামনে অনশনস্থলে বিশিষ্ট নাগরিকরা যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষকনেতারা। অধ্যাপক অজয় রায়, অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীসহ শিক্ষাবিদ ও সিনিয়র নাগরিকদের বেলা ২টা পর্যন্ত অনশনে যোগ দেয়ার কথা আছে।