উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ গ্রেপ্তার

1055

 

অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক অ্যাসাঞ্জ ২০১০ সালে পেন্টাগন ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লাখ লাখ সামরিক ও কূটনৈতিক গোপন নথি ফাঁস করে দিয়ে বিশ্বজুড়ে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিলেন।

ওই সব নথির মধ্যে মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে আফগান যুদ্ধসম্পর্কিত ৭৬ হাজার এবং ইরাক যুদ্ধ সম্পর্কিত আরো ৪০ হাজার নথি ছিল, যা যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও পেন্টাগনকে চরম বেকায়দায় ফেলে দেয়।

এ নিয়ে আলোচনার মধ্যে সুইডেনে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের মামলা হয়। গ্রেপ্তার এড়াতে ২০১২ সালে অ্যাসাঞ্জ লন্ডনের একুয়েডর দূতাবাসে গত সাত বছর ধরে আশ্রয় নেন। তারপর থেকে তিনি সেখানেই ছিলেন।

সেখানে থাকা অবস্থায় উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে গ্রেপ্তার করেছে ব্রিটিশ পুলিশ।

সুইডেনের সেই মামলা খারিজ হলেও ব্রিটিশ আইন ভাঙায় আবার গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে অ্যাসাঞ্জ বের হতে পারছিলেন না।

লন্ডন পুলিশের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, এবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আদালতের সমনে হাজির না হওয়ার কারণে।

একুয়েডরের প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো বলেছেন, বারবার ‘আন্তর্জাতিক আইন লংঘনের’ কারণে অ্যাসাঞ্জের আশ্রয় বাতিল করা হয়েছে।

তবে উইকিলিকস বলছে, বেআইনিভাবে অ্যাসাঞ্জের আশ্রয় বাতিল করেছে একুয়েডর।

এদিকে নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যাসাঞ্জকে ধরিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ঋণ মওকুফ চেয়েছেন একুয়েডরের প্রেসিডেন্ট মোরেনো।

অ্যাসাঞ্জকে গ্রেপ্তারের খবর জানিয়ে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ বলেছেন, “আমি নিশ্চিত করছি, জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ এখন পুলিশ হেফাজতে আছেন এবং তাকে যুক্তরাজ্যে বিচারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।”

অ্যাসাঞ্জকে তুলে দেওয়ার জন্য একুয়েডরকে ধন্যবাদ জানান ব্রিটেনের এই মন্ত্রী।

“কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়,” বলেন তিনি।

এই দূতাবাস ছাড়তে অস্বীকৃতি জানানো অ্যাসাঞ্জ (৪৭) বলে আসছিলেন, সেখান থেকে বেরোলে উইকিলিকসের কর্মকাণ্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে যুক্তরাষ্ট্রে হস্তান্তর করা হবে।