মঙ্গলবার বিকেলে পাবনার শহিদ অ্যাডভোকেট আমিনউদ্দিন স্টেডিয়ামে জেলা পুলিশ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে অস্ত্র জমা দিলেন ওঁরা। সেই ভাবেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরলেন বাংলাদেশের উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের ১৫ জেলার প্রায় ৬০০জন চরমপন্থী।
মন্ত্রী বলেন, “সন্ত্রাসী জীবনে জড়িয়ে পরিবার, স্ত্রী-সন্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তারা বছরের পর বছর পালিয়ে বেড়িয়েছেন। দিন-রাত মিলিয়ে খুব একটা ঘুমাতেও পারেননি। পুলিশ প্রশাসন আর প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী সব সময় তাড়া করে ফিরত তাদের। অনিশ্চিত জীবনে ছিল না এতটুকু শান্তি।
“তাই স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের ১৫ জেলার ৫৯৫ চরমপন্থী।”
তারা মোট ৬৮টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৬১৪টি ধারালো অস্ত্র জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশের আইজি মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
কর্মকর্তারা জানান, তাদের বাড়ি পাবনা, নাটোর, বগুড়া, নওগাঁ, জয়পুরহাট, রাজশাহী, রংপুর, কুষ্টিয়া, নড়াইল, রাজবাড়ী, যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর জেলায়। তাদের মধ্যে রয়েছেন পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি এমএল লাল পতাকা, পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টি, নিউ পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টি, নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি ও কাদামাটিসহ কয়েকটি সংগঠনের সদস্য।
আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে আব্দুল আলীম, বাবলু ব্যাপারী, ইকবাল শেখ, আব্দুর রাজ্জাক আর্ট বাবু, আতাউর রহমান মোবারক, মহসীন আলী, মহসিন মল্লিক, ফারুক হোসেন মোল্লা, আব্দুল্লাহ আল মামুন, লিপু মোল্লা ও রমজান আলীর হাতে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ পুরষ্কার তুলে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম, পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স অনুষ্ঠানে ছিলেন।