ইবিতে শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যে ৩ শিক্ষক জড়িত থাকার অভিযোগ

791

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। ২০ লাখ টাকায় প্রার্থীকে চাকরি দেয়ার আশ্বাস দিলেও, চাকরি দিতে না পারায় টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। শিক্ষক ও প্রার্থীর কথোপকথনের ফাঁস হওয়া এক অডিওতে এরসঙ্গে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাবশালী ৩ শিক্ষকের নাম উঠে এসেছে।

এর আগে ৯ জুলাই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের বিতর্কিত শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড স্থাগিত করে প্রশাসন।

এবারের ফাঁস হওয়া অডিও থেকে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের এক প্রার্থীর সঙ্গে নিয়োগ বাণিজ্য হয়েছে। ওই নিয়োগ বাণিজ্যে সহযোগী হিসেবে টাকা লেনদেনের চুক্তি করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল এবং ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ। প্রার্থী ফারজানা ও তার স্বামী মামুনের সঙ্গে টাকা লেনদেনের ৩টি রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।

অডিওতে শোনা যাচ্ছে নগদ ১০ লাখ টাকা প্রদান এবং বাকি ১০ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে। তবে ওই প্রার্থীর নিয়োগ নিশ্চিত না করতে পারায় টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। ১৩ জুলাই রাতে ওই প্রার্থীর স্বামীকে ফোনে ডেকে নিয়ে টাকা ফেরত দিয়েছেন বলে অডিওতে বলা হয়েছে।

চাকরি প্রত্যাশী প্রার্থীর স্বামী শাহরিয়ার রাজ মামুন বলেন, ‘তারা আমাকে চাকরির আশ্বাস দিয়েছিল বলেই টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে তারা এমন করলো। আমার স্ত্রীর আর চাকরির বয়স নেই। আমি তাদের বিচার চাই।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাংলা বিভাগের শিক্ষক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল বলেন, ‘এগুলো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আমি ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার। আমি একজনের উপকার করতে চেয়েছি। সে বিষয়টি রেকর্ড করে আমাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। অডিও ক্লিপটি এডিট করা হয়েছে।’

তবে ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদকে ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বলেন, ‘আমি দুর্নীতির ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। যদি এ ধরনের কোনো চুক্তি তারা করে থাকে, সেটি কার্যকর হোক বা না হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

তিনি বলেন, এমন অসৎ এবং অশুভ চুক্তি করার ব্যাপারটি অভিযোগ আকারে এলে আমরা অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের আওতায় আনব।