আইসল্যান্ডকে হারিয়ে গ্রুপ সেরা ক্রোয়েশিয়া

731

‘ডি’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচ ২-১ গোলে জিতেছে ক্রোয়েশিয়া প্রতিপক্ষ ছিল আইসল্যান্ড। বল দখলে পিছিয়ে থাকলেও আইসল্যান্ডের পারফরম্যান্স ছিল বেশ ভালো। আর্জেন্টিনাকে উড়িয়ে দেওয়া ম্যাচের একাদশের ৯ জনকে বেঞ্চে রেখে খেলতে নামা ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে আক্রমণে দাপট দেখায় হেইমির হালগ্রিমসনের দল।

প্রথমার্ধে ক্রোয়াট রক্ষণভাগকে ব্যস্ত রাখা আইসল্যান্ড এই সময়ে মোট আটটি শট নেয়, যার তিনটি ছিল লক্ষ্যে। বিরতির পাঁচ মিনিট আগে সেরা সুযোগটি পায় তারা; ফরোয়ার্ডের আলফ্রেড ফিনবোগাসনের দূরপাল্লার শট একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তিন মিনিট পর আইসল্যান্ড অধিনায়ক আরন গুনারসনের আরেকটি প্রচেষ্টা কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান গোলরক্ষক লোভরে কালিনিচ।

বিরতির আগে গোলের জন্য ক্রোয়েশিয়া চারটি শট নিলেও তার কোনোটিই লক্ষ্যে ছিল না।

দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু মিডফিল্ডার মিলান বাদেলেইয়ের শটে বল রাগনার সিগুর্দসনের গায়ে লেগে ক্রসবারে বাধা পায়।

পরের মিনিটে খেলার ধারার বিপরীতে এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। বাঁ-দিক দিয়ে দ্রুত ডি-বক্সে ঢুকে এক জনকে কাটিয়ে কাটব্যাক করেন লুকা মদ্রিচ। বল এক প্রতিপক্ষের পায়ে লেগে উপরে উঠে যায়। ছুটে এসে জোরালো শটে বল জালে জড়ান বাদেলেই।

পিছিয়ে পড়ে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে আইসল্যান্ড। দুই মিনিট পরেই সমতায় ফিরতে পারতো তারা। কিন্তু ডিফেন্ডার স্ভেরির ইনগাসনের এর প্রচেষ্টা কোনোমতে ক্রসবারের উপর দিয়ে পাঠান গোলরক্ষক কালিনিচ। ৫৫তম মিনিটে আবারও আইসল্যান্ডের পথে দুর্ভাগ্য বাঁধ সাধে; ইনগাসনের হেড ক্রসবারের লাগে।

৭৬তম মিনিটে অবশেষে গিলফি সিগুর্দসনের সফল স্পট কিকে সমতায় ফেরে আইসল্যান্ড। ডি-বক্সে তাদের ডিফেন্ডার দেয়ান লভরেনের হাতে বল লাগলে পেনাল্টিটি বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। নাইজেরিয়ার বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন সিগুর্দসন। এবার আর কোনো ভুল করেননি এভারটনের এই মিডফিল্ডার।

আশা জাগে আইসল্যান্ডের; কিন্তু বাকি সময়ে তেমন কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি তারা। উল্টো ৯০তম মিনিটে খেয়ে বসে আরেকটি গোল। প্রথম গোলদাতা বাদেলেইয়ের বাড়ানো বল ধরে বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে জয়সূচক গোলটি করেন ইভান পেরিসিচ। টানা তৃতীয় জয় নিশ্চিত হয় ক্রোয়েশিয়ার।