অবশেষে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন শুরু

604

৫২ দিন বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে আবারও বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়।

গত ২২ জুলাই কয়লা সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে যায় দেশের একমাত্র কয়লাভিক্তিক বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিট। এতে বিদ্যুৎ সংকটে পড়ে দিনাজপুরসহ রংপুর বিভাগের আট জেলা।

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ম্যানেজার (উৎপাদন) প্রকৌশলী মাহাবুববুর রহমান বলেন, “বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির স্টিমে আগুন দেয়া হয়েছে। সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে রাত ১০টার মধ্যে যে কোনো সময় বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।”

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হাকিম বলেন, “কয়লা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লি. (বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি) কর্তৃপক্ষ কয়লা সরবরাহ করতে না পারায় গত ২২ জুলাই রাত সাড়ে ১১টায় তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বাধ্য হয়ে বন্ধ করতে হয়। গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে কয়লা উৎপাদন শুরু হয়। কয়েক দিনের কয়লা মজুদ হওয়ায় তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মধ্যে ২৭৫ মেগাওয়াটের একটি ইউনিটে উৎপাদন শুরু করা হয়েছে। কয়লা সরবরাহ বৃদ্ধি পেলে ১২৫ মেগাওয়াট করে ২৫০ মেগাওয়াটের বাকি দুটি ইউনিটও চালু করা হবে।”

উল্লেখ্য, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে উত্তোলন করা কয়লার মধ্যে এক লাখ ৪৪ হাজার টন কয়লা গায়েব হয়ে যায়। এ কারণে গত ১৯ জুলাই বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহম্মদ ও কোম্পানির সচিব (জিএম প্রশাসন) আবুল কাশেম প্রধানিয়াকে প্রত্যাহার করে নেয় খনিটির নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলা। একই কারণে মহাব্যবস্থাপক ( মাইনিং অ্যান্ড অপারেশন) এটিএম নুরুজ্জামান চৌধুরী ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (স্টার) খালেদুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। যদিও খনির কর্মকর্তাদের দাবি- এক লাখ ৪৪ হাজার টন কয়লা গায়েব নয়, সিস্টেম লস। তাদের দাবি- গত ২০০৭ সাল থেকে খনিটিতে বাণিজ্যিকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। এই পর্যন্ত খনি থেকে এক কোটি ১০ লাখ মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে। এর মধ্যে এক লাখ ৪৪ হাজার টন কয়লা সিস্টেম লস হয়েছে।

সে কারণে কয়লা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কর্তৃপক্ষ কয়লা সরবরাহ করতে না পারায় কয়লার অভাবে গত ২২ জুলাই বড়পুকুরিয়া তাপ বিদুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ করা হয়। বিদ্যুৎ সংকটে পড়ে দিনাজপুরসহ দেশের উত্তারাঞ্চলের আট জেলা।