অবশেষে বাংলাদেশের স্বপ্নের শিরোপার দেখা

671

বৃষ্টিবৃঘ্নিত ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে শিরোপা জিততে ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ২৪ ওভারে ২১০ রানের বিশাল লক্ষ্য দাড়ায়। বাংলাদেশের ব্যাটিং নৈপুন্যতায় সে ৫ উইকেট হারিয়ে সে লক্ষ্যে পৌছে যায় ১ ওভার ১ বল বাকি থাকতেই।

এই জয়ের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ প্রথমবারের মত দেশের বাইরে কোন ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল। সেই সাথে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরবও।

বৃষ্টিতে লম্বা সময় খেলা বন্ধ থাকায় ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে নেমে আসে ২৪ ওভারে। স্থানীয় সময় বিকালে সাড়ে পাঁচটায় শুরু হয় খেলা। বাংলাদেশ সময় তখন রাত সাড়ে দশটা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংস বাকি ছিল ৩ ওভার ৫ বল। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ক্যারিবিয়ানরা ২০ ওভার ১ বল খেলে বিনা উইকেটে করেছিল ১৩১ রান।

আবার খেলা শুরু হওয়ার পর শেষ ২৩ বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেই হোপের উইকেট হারিয়ে যোগ করেছে ২১ রান। সব মিলিয়ে ২৪ ওভারে ক্যারিবিয়ানরা ১ উইকেটে করেছে ১৫২। শিরোপা জিততে ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশ পেয়েছে ২১০ রানের বড় লক্ষ্য।

বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজ দেয় ৫ ওভারে ৫০ রান দিয়ে উইকেটশূন্য। অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ২২ রানে নেন একমাত্র উইকেটটি।

বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের শুরু থেকে তামিম কিছুটা রক্ষণাত্মক খেললেও সৌম ছিল পুরোপুরি আগ্রাসী। ৩ ছক্কা ও ৯ চারে ৪১ বলে ৬৬ রান করে আউট হন তিনি। শেষটায় মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের নৈপুন্যে ১ ওভার ১ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌছে যায় বাংলাদেশ।

অসাধারণ ব্যাটিং করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌছানোয় মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন এবং পুরো সিরিজে ভাল খেলে প্লেয়ার অব দ্যা সিরিজ হন সেই হোপ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২৪ ওভারে ১৫২/১ (হোপ ৭৪, আমব্রিস ৬৯*, ব্রাভো ৩*; মাশরাফি ০/২৮, সাইফ ০/২৯, মুস্তাফিজ ০/৫০, মোসাদ্দেক ০/৯, মিরাজ ১/২২, সাব্বির ০/১২)

বাংলাদেশ: (লক্ষ্য ২৪ ওভারে ২১০) ২২.৫ ওভারে ২১৩/৫ (তামিম ১৮, সৌম্য ৬৬, সাব্বির ০, মুশফিক ৩৬, মিঠুন ১৭, মাহমুদউল্লাহ ১৯*, মোসাদ্দেক ৫২*; নার্স ০/৩৫, হোল্ডার ০/৩১, রোচ ০/৫৭, গ্যাব্রিয়েল ২/৩০, রিফার ২/২৩, অ্যালেন ১/৩৭)