হাসান ওয়ালী ● জনপ্রিয় ফোকশিল্পী অনন্যা ইয়াসমিন অঙ্কনের জন্মদিন আজ ২৩ জানুয়ারি। ১৯৯৭ সালের এইদিনে চাঁপাইনবাবগঞ্জে জন্ম গ্রহণ করেন বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় এই শিল্পী। এখন-এর পক্ষ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
আড়ং ডেইরি-চ্যানেল আই বাংলার গান প্রতিযোগিতার ২০১৫ প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় রানার আপ অঙ্কন। ব্যস্ত সময় পার করছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে কনসার্ট ও টেলিভিশন প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে। শীঘ্রই একক অ্যালবাম নিয়ে আসছেন। রবিউল ইসলাম জীবনের কথা ও মোহাম্মদ মিলনের সুরে ৩টি গান থাকবে এই একক অ্যালবা্মে।
জন্মদিনে রাত ১২টার পর থেকেই বন্ধু, ভক্ত ও শুভাকঙ্খীসহ সর্বস্তরের মানুষের ভালোবাসা মাখানো শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছেন অনন্যা ইয়াসমিন অঙ্কন। ফেসবুকেও বইছে শুভেচ্ছা বানী ও শুভকামনার বৃষ্টি।
জন্মদিনের পরিকল্পনা নিয়ে অঙ্কন এখন-কে বলেন, পরিবার এবং বন্ধুদের সাথেই জন্মদিনটা কাটাতে চাই। বছরের অন্যান্য দিন ব্যস্ততার কারণে বন্ধুদের সময় দিতে পারি না, এর জন্য জন্মদিনে তাদের সাথে সময় কাটাবো। এছাড়াও সংগীতাঙ্গনের বিভিন্নজনদের সাথে দেখা করার ইচ্ছা আছে।
বাবার প্রতিষ্ঠিত মহানন্দা সংগীত নিকেতনে শিক্ষাজীবন শুরু করেন অঙ্কন। ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি ঝোঁক ছিল তার। বিশেষ করে লোকসংগীতের প্রতি তার গভীর অনুরাগ আজও রয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় চ্যানেল আই বাংলার গান ২০১৫ প্রতিযোগিতায় প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন তিনি। এই প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানার আপ নির্বাচিত হন।
২০০৬ সালে বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলার জাতীয় শিশু-কিশোর প্রতিযোগিতায় দেশাত্মবোধক সংঙ্গীতে প্রথম স্থান এবং একই বছর পদ্মকুড়ির জাতীয় শিশু-কিশোর-যুব প্রতিযোগিতায় লোকসংগীতে জাতীয় পর্যায়ে প্রথম স্থান অর্জন করেন। ২০০৮ সালে একই প্রতিযোগিতায় আবার জাতীয় পর্যায়ে প্রথম স্থান লাভ করেন। ২০০৭ সালে জাতীয় শিশু-কিশোর প্রতিযোগিতায় লোকসংগীতে দ্বিতীয় স্থান অর্জন ও ২০০৯-এর জাতীয় শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় দেশাত্মবোধক ও লোকসংগীতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন নির্বাচিত হন। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে স্বর্ণপদক পান তিনি। একাধিক সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন থেকে পেয়েছেন সম্মাননা স্মারক।
ভারতের কলকাতায় জি বাংলা সা-রে-গা-মা-পা প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের হয়ে অংশ নিয়েছেন অঙ্কন। এছাড়া আবদুল আলীম ফাউন্ডেশন আয়োজিত ও বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের সহযোগিতায় ইউনেস্কো পার্টিসিপেশন প্রোগ্রাম ২০১৪-২০১৫-তে অংশ নেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ বেতারে লোকসংগীতের নিয়মিত শিল্পী।