ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে দেশে বিপুল পরিমাণ টাকা পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। তাতে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ে নতুন রেকর্ড হয়েছে। গত মে মাসে প্রবাসীরা ১৭৫ কোটি ৫৭ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন দেশে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৪ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা। দেশে এত বেশি পরিমাণ প্রবাসী আয় আর কখনোই আসেনি।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, বেশ কয়েকটি কারণে এত বিশাল পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-ফিতর উদযাপিত হবে। ঈদকে সামনে রেখে প্রবাসীরা দেশে তাদের স্বজনদের কাছে সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ পাঠানোর চেষ্টা করে থাকেন। অনেকে ঈদে টাকা পাঠানোর জন্য সারা বছরের আয় থেকে কিছু অর্থ জমিয়ে রাখেন। এমনকি অনেকে ঈদ-উৎসবে স্বজনদের মুখে হাসি ফোটাতে ধার করেও বাড়তি অর্থ পাঠিয়ে থাকেন। এ কারণে প্রতিবছরই ঈদের মাসে বা তার আগের মাসে বছরের অন্যান্য মাসের চেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসে থাকে।
এছাড়া দেশের ব্যাংকগুলোতে ডলারের ব্যাপক সংকট থাকায় অনেক ব্যাংক রেমিট্যান্স আনার প্রতি বাড়তি নজর দিয়েছে। কেউ কেউ ডলারের বেশি দামে দিয়েও আয় এনেছে। এটিও রেমিট্যান্স বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
অন্যদিকে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক অবৈধ চ্যানেল তথা হুন্ডি বন্ধে নজরদারি বাড়ানোয় বৈধ চ্যানেল তথা ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি আয় এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। প্রবাসী আয় আনায় এরপরই রয়েছে ডাচ বাংলা, অগ্রণী ও সোনালী ব্যাংক।
তথ্য মতে, মে মাসে এসেছে ১৭৫ কোটি ৫৭ লাখ ডলার। এপ্রিলে এসেছিল ১৪৩ কোটি ডলার, মার্চে ১৪৫ কোটি ডলার। আর চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল যথাক্রমে ১৫৯ কোটি ও ১৩১ কোটি ডলার। ফলে চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ১ হাজার ৫০৬ কোটি ডলার।