গোলান মালভূমি ‘ইসরায়েলি ভূখণ্ড’ ট্রাম্পের স্বীকৃতি

793

 

মালিকানা নিয়ে বিরোধ থাকা গোলান মালভূমিকে ইসরায়েলি ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ওয়াশিংটন সফররত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ‘নির্বাচনে জয়ী হতে সহায়তা করতে’ তিনি এ স্বীকৃতি দেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় সিরিয়ার গোলান মালভূমি দখল করেছিল ইসরায়েল। সামরিক কৌশলগভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই মালভূমিটিকে ইসরায়েল ১৯৮১ সালে আইনিভাবে নিজেদের ভূখণ্ডের অর্ন্তভুক্ত করে নিলেও বিশ্ব সম্প্রদায় তা মেনে নেয়নি।

কিন্তু সোমবার হোয়াইট হাউসে নেতানিয়াহুকে পাশে নিয়ে ‘গোলান মালভূমি ইসরায়েলি ভূখণ্ড’ এই ঘোষণা দেওয়া স্বীকৃতিপত্রে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। আনুষ্ঠানিক এই স্বীকৃতির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র গোলান মালভূমির বিষয়ে তাদের কয়েক দশকের অনুসৃত নীতি থেকে সরে গেলো।

এই স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ট্রাম্পের ওপর চাপ সৃষ্টি করে আসছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। গত বৃহস্পতিবার এক টুইটে গোলান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতি বদলের ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প।

এই পদক্ষেপের মাধ্যমে রিপাবলিকান এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নেতানিয়াহুর প্রতি প্রত্যক্ষ সমর্থনের ইঙ্গিত দিলেন। পঞ্চম মেয়াদের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নেতানিয়াহু আগামী ৯ এপ্রিল সাধারণ নির্বাচনের মুখোমুখি হচ্ছেন।

রোববার চার দিনের সফরে ওয়াশিংটন গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু গাজা থেকে ছোড়া রকেটে তেল আবিবের নিকটে সাত জন আহত হওয়ার খবরে সফর সংক্ষিপ্ত করেন।

ঘোষণাটি স্বাক্ষর করার পর ট্রাম্প বলেন, “এই সিদ্ধান্তে আসতে দীর্ঘ সময় লাগলো।”

নেতানিয়াহু ট্রাম্পের পদক্ষেপকে স্বাগত জানান এবং বলেন, তার চেয়ে ভালো বন্ধু ইসরায়েল আর পায়নি। ইসরায়েলের কেন গোলান ধরে রাখা দরকার এর পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে তিনি অতীতের দুটি আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের প্রসংগ তোলেন।

বলেন, “ইসরায়েল ১৯৬৭ সালে যেমন মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিল, ১৯৭৩ সালে যেমন দাঁড়িয়েছিল, আজও তেমনি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। আমরা ওই উচ্চ ভূমিটি ধরে রেখেছি এবং কখনোই ছাড়বো না।”

যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপে সিরিয়া দ্রুত তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপকে তাদের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডগত অখণ্ডতার ওপর ‘স্পষ্ট আক্রমণ’ বলে বর্ণনা করে গোলান পুনরুদ্ধারের অধিকার তাদের আছে বলে জানিয়েছে দেশটি।