বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও একটি স্বপ্ন

1819

রণেশ মৈত্র:
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন ১৯২০ সালে। ২০২০ সালে তাঁর জন্মের শতবর্ষ পূরণ হবে। সেই ২০২০ সাল বাঙালি জাতির দোরগোড়ায়। জরুরি ভিত্তিতেই তাবৎ কর্মসূচি স্থির করে ফেলা দরকার-সারাটি বছর ধরে কিভাবে আমরা এই মহামানবের জন্মশতবর্ষ উদযাপন করতে পারি।

বস্তুত আমরা যারা অশীতিপর রাজনৈতিক কর্মী ও সাংবাদিক তারা সৌভাগ্যের অধিকারী যে বঙ্গবন্ধুর বড় হয়ে উঠে কলকাতা থেকে দেশবিভাগের পর পূর্ব বাংলায় (পূর্ব পাকিস্তান) ফিরে আসেন-তারপর থেকে তাঁর কর্মকাণ্ডের প্রত্যক্ষ সাক্ষী, প্রত্যক্ষদর্শী এবং প্রত্যক্ষ ফলভোগকারীও বটে। তাই আমরা নিশ্চয়ই বছরটি হেলাফেলাভাবে দায়সারাভাবে বা গতানুগতিকভাবে পালিত হোক-তা চাইতে পারি না। বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন হতে হবে পরিপূর্ণ অর্থবহ এবং গভীরভাবে তাৎপর্যমণ্ডিত। কিন্তু এ ব্যাপারে কর্মসূচি প্রণয়নে জাতীয় ভিত্তিক প্রস্তুতি কমিটি গঠিত হয়েছে বলে জানি এবং তার সরকার ও সরকারী দলের উদ্যোগে অনেকটাই দলীয়করণকৃত সেই কমিটি, এমন অভিযোগ আছে।

অভিযোগটি সত্য হোক বা না হোক, আমার মতে, সরকারি উদ্যোগ সেই কমিটি পুনর্গঠিত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শের প্রতি সন্দেহাতীতভাবে নিষ্ঠাশীল এবং বঙ্গবন্ধু ও তাঁর অবদানের প্রতিও অনুরূপভাবে শ্রদ্ধাশীল, এমন রাজনৈতিক দলসমূহ, নারী সাংস্কৃতিক-পেশাজীবী সংগঠন সমূহের উপযুক্ত সংখ্যক প্রতিনিধি সমবায়ে “বঙ্গবন্ধু জন্ম শত বার্ষিকী সম্মিলিত জাতীয় উদযাপন পরিষদ” বা এই জাতীয় নামে নতুন করে ঐ কমিটি পুনর্গঠন করে প্রকৃতই জাতীয়ভাবে বছরটি উদযাপন করলে তা হবে সর্বোত্তম। এ ব্যাপারে কোন মহল থেকেই সামান্যতম দলীয় সংকীর্ণতার প্রশ্রয় দেওয়া হলে তা হবে অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত।

তবে চিন্তিত হই এই ভেবে যে বাংলাদেশে সুন্দর সুন্দর প্রস্তাব/পরামর্শ দেওয়া যত সহজ, সেগুলির বাস্তবায়ন, উপেক্ষা, অবজ্ঞা করা ততোধিক সহজ। তদুপরি সরকারি দলের আত্মম্ভরিতা, অহমিকা ও অপরের প্রতি অশ্রদ্ধাসূচক মনোভাবের ফলে ঐ প্রস্তাবটি কার্যত একটি কাগুজে প্রস্তাবে পরিণত হতে পারে অবলীলাক্রমে। বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর জন্ম শত বর্ষ জাতীয়ভাবে উদযাপন প্রধান না হয়ে জাকজমক জৌলুষ উদ্ভাবনই প্রধান লক্ষ্যে পরিণত হয়েও যেতে পারে হয়তো। স্তাবক-ভরা সরকারি দল স্তাবকতায় ভুল পথে পরিচালিত হতেও পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রে বাদ-বাকিরা কি বসে থাকবেন?

আমার মতে তা উচিত হবে না। উচিত হবে দায়সারাভাবে বছরটি পার করে দেওয়াও। সামর্থ্যরে সীমাবদ্ধতা প্রকট কাজে হাত দেওয়া, যথার্থভাবে অগ্রসর হওয়া ছাড়া পথ নেই। সামর্থ্য বৃদ্ধির নানা পথ ও সৃজনশীলতার সাথে মস্তিষ্ক পরিচালনার মাধ্যমে বিকশিত করারও বিকল্প নেই।কিন্তু অগ্রিম কোন বড় কিছু বা নামমাত্র কিছু না ভেবে প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক, বামপন্থি ও উদার গণতান্ত্রিক শক্তিগুলি ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে ভাবতে পারেন। তাঁরাই, আমার মতে, আজকের রাজনৈতিক বাস্তবতায়, প্রকৃত, বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তাঁর অবদানের প্রতি ও তাঁর সুমহান আদর্শের প্রতি গভীরভাবে নিষ্ঠাশীল। তাই নিদেন পক্ষে, অন্তত: এই ইস্যুতে তাঁরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে জন্মশত বার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুকে যথার্থভাবে স্মরণের কার্যকর কর্মসূচি উদ্ভাবন করতে পারেন। চেষ্টা করতে পারেন দেশের প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলিকেও সঙ্গে নিয়ে কর্মসূচি প্রণয়ন করতে।

স্মরণযোগ্য যে:-
এক. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন;

দুই. তাঁর মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছিল ১৯৭৫ সালের মধ্য আগস্টে ও সপরিবারে নিষ্ঠুর ঘাতকদের হাতে:

তিন. অর্থাৎ তিনি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া সত্বেও মাত্র ৫৫ বছর বয়সে এই সুন্দর পৃথিবী থেকে, বহু অসম্পূর্ণ কাজ ফেলে রেখে, বিদেয় নেন;

চার. ধরা যেতে পারে যখন তাঁর বয়স ২০ বছর, তখন তিনি দেখেছেন বাড়ির ষড়যন্ত্রে দেশ (অবিভক্ত ভারত) মেতে উঠেছিল ১৯৪০ সালের নিখিল ভারত মুসলিম লীগের কাউন্সিল (লাহোর) অধিবেশন থেকে প্রস্তাব পাশ হয় ধর্মের ভিত্তিতে দেশ বিভাগের।

পাঁচ. ব্রিটিশ ভারতে মুসলিম সমাজের অনগ্রসরতা, অশিক্ষা, কুশিক্ষা, বঞ্চনা যেমন স্বভাবতই তাঁর শিশুমনকে ব্যথিত করতো, হিন্দু জোতদার-জমিদারদের মুসলিমদের প্রতি অমানবিক আচরণ যেমন তাঁকে ক্ষুব্ধ ও বিচলিত করতো, তেমনই আবার হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা দেখেও তাঁর চিত্ত অস্থির হয়ে উঠতো। তাঁর বয়ো:সন্ধিক্ষণেই পরিস্থিতির অসহায় শিকারে পরিণত হন তিনি।

ছয়. মুসলিম লীগের কর্মী পাকিস্তান সৃষ্টির পক্ষে ১৯৪৬ সালের গণভোটে সক্রিয়ভাবে অংশ নিলেও তিনি পাকিস্তান যখন ১৯৪৭ এ প্রতিষ্ঠিত হলো-অত্যন্ত দ্রুততার সাথেই তিনি উপলব্ধি করতে সক্ষম হলেও সাম্প্রদায়িক বিভাজন সৃষ্টির লক্ষ্যে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হলেও, তা বাঙালি মুসলমানদের পক্ষে সহায়ক হবে না। তাই দ্রুত তাঁর মোহমুক্তি ঘটলো এবং ১৯৪৮ সাল থেকেই তিনি মুসলিম লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামলেন। এইভাবে ধীরে ধীরে মুসলিম লীগই নয় শুধু একটি অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদের তার উত্তরণ করলো।

বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিতে প্রগতিশীল উপাদানের উন্মেষ-কাল এ ভাবেই আমরা খুঁজে পেতে পারি। এই উপাদানের সাথে ক্রমান্বয়ে নতুন নতুন উপাদান যুক্ত হতে যার বিস্ফোরণ ঘটে ১৯৬৬ সালে তাঁর ঐতিহাসিক ছয় দফা কর্মসূচির দু:সাহসী ঘোষণার মধ্য দিয়ে।
আমরা, বাম প্রগতিশীল শক্তিসমূহ, যদি এভাবে ক্রমান্বয়ে বঙ্গবন্ধুর জীবন পরিক্রমা নিবিড়ভাবে লক্ষ্য করি, তবে নিশ্চিতভাবেই বঙ্গবন্ধুর জীবনকে বৈজ্ঞানিকভাবে ইতিবাচক হিসেবেই দেখতে পাব।

কিন্তু লক্ষ্য করার বিষয়, বাংলাদেশের আজকের মুসলিম মানস কি যথার্থভাবে বঙ্গবন্ধুর ঐ চেতনার বিকাশকে ধারণ করে। আজ সাম্প্রদায়িক মুসলিম লীগ থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে “মুসলিম” শব্দ বর্জিত আওয়ামী লীগে উত্তরণকে সঠিকভাবে দেখছে কি? দেখছে কি, এমন কি, বর্তমান আওয়ামী লীগ ও তার লাখো নেতা-কর্মীরাও।

গভীরভাবে পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, আজকের আওয়ামী লীগ আর সেদিনের বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ এক নয় বরং বহুলাংশে তাঁর লক্ষ্য ও আদর্শ থেকে স্পষ্টতই বিচ্যুত।

তেমনই আবার রাষ্ট্রীয় ও সাংগঠনিক ক্ষমতার জোরে এবং মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দানের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের ধারক হওয়ায় সহজেই দলটি “ধর্মনিরপেক্ষ” “অসাম্প্রদায়িক” বলে নিজেদেরকে চালিয়ে দিতে পারছে। কিন্তু আজকের আওয়ামী লীগ কেন পারছে না বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগের মত সাম্প্রদায়িক সহিংসতাকে প্রত্যক্ষভাবে রুখে দাঁড়াতে? কেন পারছে না ঐ সহিংস ঘটনাগুলির বিচার করে অপরাধীদের শাস্তি দিতে?

বঙ্গবন্ধুর শততম জন্ম বর্ষ উদযাপন তাৎপর্যমণ্ডিত ও কার্যকর হতে পারে যদি বঙ্গবন্ধুর চেতনার প্রগতিশীলতার ক্রমবিকাশ সম্পর্কে যুব সমাজকে বিজ্ঞান সম্মত ধারণা দিয়ে সেই চেতনায় তাদের উদ্বুদ্ধ করা যায়।

এই দায়িত্ব বাম-প্রগতিশীল-উদার গণতন্ত্রীদের কাঁধে আজ ঐতিহাসিকভাবেই বর্তেছে। তাঁদের ঐক্যবদ্ধভাবে এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে এই চেতনার দিকটি ঢাকাতে নয় শুধু দেশের সর্বত্র তথ্যপূর্ণভাবে আলোচনায় আনা সম্ভব হয় তবে নিশ্চয়ই কিছুটা ইতিবাচক ফলে বের করে আনা সম্ভবপর হতে পারে। সম্ভবত সকলেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন।

একথা সত্য, সরকারি দলের সাথে ঐক্য না হলে, এবং তার সম্ভাবনাও বাস্তবে অত্যন্ত ক্ষীণ, একটি বছর ধরে অনুষ্ঠানাদি আয়োজন সম্ভবপর নয় নানাবিধ সীমাবদ্ধতার কারণে।সেক্ষেত্রে এ ব্যাপারে সম্মিলিত যা সিদ্ধান্ত হবে সেটাই শিরোধার্য। তবে কর্মসূচিগুলি যেহেতু যৌথভাবে সেই হেতু উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত তা বিস্তৃত করতে পারলে কিছু সুফল বেরিয়ে আসতে পারে।

বঙ্গবন্ধুকে যদি পাকিস্তানের একজন খুদে নির্মাতা (বয়সে কিশোর এই অর্থে) হিসেবে ধরি, তবে ১৯৪৭ থেকে ১৯৪৮, ১৯৫২, ১৯৫৪, ১৯৬২, ১৯৬৬, ১৯৬৯, ১৯৭০ এবং ১৯৭১ সাল ধরে বাঙালী মানসের যে বিপ্লবী অগ্রগতি সাধন করে সমগ্র বাঙালি জাতিকে সমগ্র মুক্তিযুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলেন তা বিশ্বের মুক্তি আন্দোলনে নতুন প্রেরণার সূচনা করতে সক্ষম হয়েছিলে।

পাকিস্তানের সামরিক শাসক চক্র, বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদ ও মধ্যপ্রাচ্যের সকল মুসলিম দেশের এবং চীনের মতো প্রাচ্যের বিশালতম শক্তির বিরুদ্ধে ঐ মুক্তিযুদ্ধে জনগণকে উদ্দীপ্ত করার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান ঐতিহাসিক। অবশ্য দেশের তৎকালীন বাম ও গণতান্ত্রিক সমূহও দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে পরিচালিত ধারাবাহিক আন্দোলন সংগ্রামে যে বীরত্ব ও নিষ্ঠা প্রদর্শন করেছিলেন ইতিহাসকে তার স্থানও সু-উচ্চে। বঙ্গবন্ধু স্বয়ং তার স্বীকৃতি দিতে কুণ্ঠা না করলেও আজ প্রগতিশীল শক্তির দুর্বলতার কারণে ক্রমান্বয়ে দক্ষিণপন্থায় হেলে পড়া এই সরকার তা স্বীকার না করলেও ইতিহাস ইতিহাসই। তা কদাপি মিথ্যে হয় না।

দক্ষিণ পন্থায় আক্রান্ত এই সরকার বঙ্গবন্ধুর বাহাত্তরের সংবিধানে জিয়া এরশাদের বে-আইনি সংশোধনী মারফত সংবিধানে লিখিত “বিসমিল্লাহ”, জামায়াতে ইসলামী সহ ধর্মাশ্রয়ী দলগুলির বৈধতা এবং রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম মেনে নিয়ে কার্যত বঙ্গবন্ধুর এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের নীতি আদর্শ থেকে মারাত্মকভাবে সাথে বিচ্যুত হয়ে ধর্মান্ধ গোষ্ঠীগুলির রাষ্ট্রক্ষমতা স্থায়ী করা বা ভোটের সংকীর্ণ স্বার্থে আপোষের পথ বিপজ্জনক পথ বেছে নিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাশ্রয়ী বাঙালি জাতির জন্য আজ এক মহাবিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই দেশ ও জাতির অগ্রগতির স্বার্থে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের স্বার্থে প্রাথমিক কর্তব্যই হলো ঐ সকল সংশোধনী সৃষ্ট তাবৎ আবর্জনা দূর করে বাহাত্তরের সংবিধান অবিকল পুন:স্থাপন করে বঙ্গবন্ধুর নির্দিষ্ট অবস্থানে দেশকে ফিরিয়ে নেওয়া।

বাঙালি জাতি লক্ষ্য করছে চোখ ধাঁধানো বেশ কিছু সুউচ্চ অট্টালিকা, বাজার-বিপণী, পথ ঘাট, সেতু নির্মিত হলেও দেশের ৯৫ ভাগ মানুষের ভাগ্যে মৌলিক কোন পরিবর্তন আসে নি। খড়ের ঘর থেকে টিনের ঘর-ব্যস। এ ছাড়াও অসংখ্য বস্তি। ভয়াবহ বেকারত্ব ঐ বিলাসিতার বিপরীতে কঠিন সত্যকে সামনে নিয়ে এসেছে।

এ সকল শোষণ, নিপীড়ন ও নীতি আদর্শ বিচ্যুতির বিরুদ্ধে কার্যকর লড়াই সূচনার অন্যতম ভিত্তি হতে পারে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন।

সরকারও ঐ সংশোধনীগুলি বাতিল করে বাহাত্তরের মূল সংবিধান পুন:স্থাপনে ২০২০ সালে পৌঁছার আগেই এগিয়ে এলে বঙ্গবন্ধুর লোকান্তরিত আত্মা শাস্তি পেতে পারত- দেশবাসীও আধুনিক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনে উৎসাহিত হতো। হেফাজতের মতো অপশক্তিকে কার্যত উপদেষ্টার আসনে বসানো দেশের প্রগতিমুখীন অগ্রযাত্রাকে পশ্চাতেই টানছে শুধু। সরকারকে এ আত্মঘাতী পথ পরিত্যাগ করতেও আহ্বান জানাই।

রণেশ মৈত্র, লেখক, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক; মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। ইমেইল : raneshmaitra@gmail.com