চুল পড়ে যাওয়ার সাধারণত অনেক কারণ থাকে। শরীরের হরমোনের কারণে চুল পড়ে যেতে পারে, কিংবা সন্তান জন্মদানের পরবর্তী সময়ে মেয়েদের মাথার চুল পড়ার হার বেড়ে যেতে পারে। আবার বংশগত কারণেও মাথায় টাক হতে পারে।
বংশগত কারণে চুল পড়ে গেলে খুব বেশি কিছু আসলে করার থাকে না। তবে অন্য দুটি কারণে চুল পড়লে আপনি ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে পারেন।
টাক মাথায় চুল গজানোর সহজ উপায় হচ্ছে, সার্জিক্যাল পদ্ধতিতে শরীরের অন্য জায়গার চুল এনে মাথায় প্লান্ট করা। তবে এটা সবার ক্ষেত্রে সম্ভব নাও হতে পারে।
মেয়েদের ক্ষেত্রে পিরিয়ডের সময় ছাড়াও সন্তান জন্মদানের পর মাথার চুল পড়তে পারে। তবে চিকিৎসকেরা বলেন, এ নিয়ে খুব বেশি একটা চিন্তার কিছুই নেই। সময়ের পরিবর্তনে এই সমস্যা দূর হয়ে যায়।
সাধারণত দেখা যায়, টাক পড়া লোকেরা বাজারে প্রচারিত বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে মাথায় নানান রকম ওষুধ লাগান। সবচেয়ে বড় ভুল এইখানেই করে বসেন তারা। কারণ ঠিক কী সমস্যার কারণে তার মাথার চুল পড়ে যাচ্ছে তা না জেনে চিকিৎসা করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। সুতরাং প্রথমেই ডাক্তারের কাছে যান।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে ক্যালসিয়াম ও আয়রনের অভাব দেখা দিলেও চুল পড়ার হার বেড়ে যেতে পারে। তাই সমস্যা শুরু হওয়া মাত্রই ডাক্তারের কাছে যান।
বাজারে প্রচলিত অখ্যাত সাবান, শ্যাম্পুও চুল পড়ার কারণ হতে পারে। এছাড়া চুলে রং করা, স্ত্রেটনার, ড্রায়ার ইত্যাদি কারণেও চুল পড়া শুরু হতে পারে। তাই এসব ব্যাবহারে সাবধান থাকুন।