আকাশ ভ্রমণ করতে হলে…

1556

আকাশ ভ্রমণ সবার কাছেই প্রিয়। মেঘের ওপর দিয়ে ভেসে বেড়ানোর আনন্দ কি আর বলে শেষ করা যায়? সময় বাঁচিয়ে এক গন্তব্য থেকে অন্য গন্তব্যে যেমন পৌঁছে যাওয়া যায়, তেমনি এ ভ্রমণে নেই কোনো ক্লান্তি। কয়েক হাজার ফিট ওপর দিয়ে উড়ে বেড়ানো বিমান থেকে নিচের পৃথিবীকে মনে হয় পিঁপড়ার বাসার মতো। কখনো কখনো সুবিশাল নদীগুলোও হয়ে যায় আঁকা বাঁকা সরু পথের মতো। সবুজ গাছের বন যেনো ঘাসের মাঠ। সবমিলিয়ে বিমান জার্নিই বোধহয় এখন পর্যন্ত পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত ও সহজতর যাতায়াত মাধ্যম।

তবে প্রথমবার বিমান ভ্রমণ করতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে। এয়ারপোর্টের নিয়ম নীতি না জানা থাকলে একটু ধাক্কা খাওয়ারও সম্ভাবনা আছে। আর স্মার্ট হলে সেসব কিছু বাগিয়ে আনা যাবে খুব সহজেই।

ওপরের ভিডিওতে বিমান ভ্রমণের নানা দিক সম্পর্কে খানিকটা ধারণা দেয়া হয়েছে। ডমেস্টিক বা অভ্যন্তরীণ বিমানে চড়ে ঢাকা থেকে কক্সবাজার ভ্রমণের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে এখানে। ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শেষ করে বিমানে ওঠা এবং কক্সবাজারে নামার সবকিছুই ধারণ করা হয়েছে এখানে। নতুন বিমান ভ্রমণকারীরা এ ভিডিও থেকে সহজেই যেমন এসব আনুষ্ঠানিকতা জেনে নিতে পারবেন, তেমনি ঢাকা-কক্সবাজার আকাশ ভ্রমণের একটা স্বাদও পাবেন।

  • অভ্যন্তরীন বিমান ভ্রমণের প্রাথমিক নিয়ম:
    ১. অনলাইনে বা অফলাইনে নির্দিষ্ট গন্তব্যের টিকেট কিনতে হবে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে এয়ারলাইন্স টিকিট বিক্রির কাউন্টার রয়েছে। সেগুলোতে গিয়ে নির্ধারিত মূল্যে সরাসরি টিকেট কেনা যাবে।
    ২. ভ্রমণের দিন ওই টিকিট নিয়ে বিমান বন্দরে যেতে হবে। ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অভ্যন্তরীন রুটে যাত্রীদের জন্য ভিন্ন টার্মিনাল রয়েছে। সে টার্মিনাল দিয়ে এয়ারপোর্টে ঢুকতে হবে।
    ৩. ঢোকার পরে এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলোর কাউন্টারে টিকিট জমা দিতে হবে। আপনি যে এয়ারলাইন্সের টিকেট কিনেছেন, সে এয়ারলাইন্সের কাউন্টারে যেতে হবে। আপনার সঙ্গে থাকা লাগেজও জমা দিতে হবে এখানে। তারাই সেটা নিজ দায়িত্বে বিমানের লাগেজ বক্সে দিয়ে দিবে।
    ৪. সেখানে আপনাকে দেয়া হবে বোর্ডি পাস টিকিট। সেটি নিয়ে ঢুকতে হবে ডিপারচার লাউঞ্জে।
    ৫. অপেক্ষঅর পর যখন আপনার ফ্লাইটের সময় হবে, তখন ডাক পড়বে। সারিবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে। টিকিট চেক করে আপনাকে অপেক্ষমান বাস দেখিেয়ে দেয়া হবে। সে বাস আপনাকে নিয়ে যাবে বিমানের একদম কাছে।
    ৬. টিকিট দেখিয়ে বিমানে ঢুকে পড়বেন। নিজ আসনে গিয়ে বসে পড়বেন। সিট নং না বুঝতে পারলে কেবিন ক্রুকে বললেই তারা দেখিয়ে দিবে।
    ৭. গন্তব্য এলেই ঘোষণা আসবে। হ্যান্ড ব্যাগ নিয়ে নেমে পড়বেন।
    ৮. এয়ারপোর্টের লাগেজ কাউন্টার থেকে টিকিট দেখিয়ে লাগেজ নিয়ে বেরিয়ে পড়বেন।

বিস্তারিত জানতে হলে ভিডিওটি দেখে আসুন একবার।