৭৬ ভাগ ভোট পেয়ে জিতলেন পুতিন

বার্তা সংস্থা

966
পুতিন

রোববার অনুষ্ঠিত ভোটে ভ্লাদিমির পুতিনই আবার সেখানকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। বলা হচ্ছে, রেকর্ড ভোট পেয়েছেন তিনি, শতকরা ৭৬ ভাগ ভোট।

আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অর্থাৎ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন কমিউনিস্ট পার্টির ধনকুবের পাভেল গ্রুডিনিন। তিনি পেয়েছেন শতকরা মাত্র ১২ ভাগ ভোট। ফলে রেকর্ড মার্জিনে জিতেছেন পুতিন।

তিন নম্বরে রয়েছেন জাতীয়তাবী ভ্লাদিমির ঝিরিনোভস্কি। তিনি পেয়েছেন মাত্র ৬ ভাগ ভোট।

ফলে পুতিনের বিরুদ্ধে যে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তারা সবাই ছিলেন তার সামনে নস্যি।

বিরোধী দলীয় নেতা অ্যালেক্সি নাভালনিকে নির্বাচনে নিষিদ্ধ করা হয়। ফলে পুতিনের সামনে নির্বাচনী পরিবেশ হয়ে ওঠে খেলোয়াড়হীন মাঠে চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড়ের মতো গোল দেয়ার মতো। এ ফল প্রকাশের পর একজন সাংবাদিক পুতিনকে প্রশ্ন করেছিলেন তিনি পরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কিনা। জবাবে পুতিন বলেছেন, ‘কি ভেবেছেন? আমি কি একশ বছর বয়স পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট থাকবো?’

তবে রাশিয়ার এ নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রে, বৃটেনে বা জার্মানিতে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যে পরিমাণ মাঠ গরম থাকে, মিডিয়ায় রিপোর্টে থাকে ঠাসা, রাশিয়ার ক্ষেত্রে কিন্তু তেমনটা ছিল না মোটেও। পানসে একটি পরিবেশে নির্বাচন হয়েছে। পর্যবেক্ষকরা ধরেই নিয়েছিলেন কি ঘটতে যাচ্ছে। সে যাই হোক, আরো ছয় বছরের জন্য নিজের প্রেসিডেন্সির বৈধতা হাসিল করে নিলেন পুতিন। এটা তিনি এমন একটি সময়ে করলেন যখন পশ্চিমা দেশগুলো বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন, জার্মানি, ফ্রান্সের সঙ্গে তার শত্রুতামূলক সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিখেছে, পুতিন নির্বাচনে জিতলেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি রাশিয়ার রাজনীতিতে প্রায় এক শতাব্দীর এক কোয়ার্টার বা চারভাগের এক ভাগ বা প্রায় ২৫ বছর আধিপত্য বিস্তার করবেন। আগামী ২০২৪ সালে তার এই প্রেসিডেন্সির মেয়াদ শেষ হবে। এখন তার বয়স ৬৫ বছর। ওই সময়ে তার বয়স হবে ৭১ বছর। এর চেয়ে বেশি সময় রাষ্ট্র শাসন করেছেন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের একমাত্র স্বৈরশাসক জোসেফ স্টালিন।

পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরো সমৃদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি এরই মধ্যে দিয়েছেন পুতিন। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাশিয়ার মানুষের জীবনমানের মান উন্নয়ন ঘটাবেন। রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন গত রাতে ভোটের ফল প্রকাশ করতেই রেড স্কয়ারের কাছে বিজয়ী ভাষণ দেন পুতিন। এ সময় তাকে ঘিরে ছিলেন উৎফুল্ল জনতা।

পুতিন বলেন, আস্থার কারণে তিনি বিজয়ী হয়েছেন। কঠিন এক পরিস্থিতিতে তিনি জিতেছেন। তিনি বলেন, আমাদের এই একতাকে ধরে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের মাতৃভূমির ভবিষ্যত নিয়ে আমাদেরকে ভাবতে হবে।

পরে সমর্থকদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি বলেন, সামনে কঠিন সময়। রাশিয়াকে একটি ব্রেকথ্রু দিতে হবে। পুতিনকে সমর্থন দিয়েছিল রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন, ক্ষমতাসীন দল। তারাই তার এপ্রুভাল রেটিং বা অনুমোদন দিয়েছিল শতকরা ৮০ ভাগ।