১০ উইকেটে শ্রীলংকাকে হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের দারুণ শুরু

563

 

আগেই ম্যাট হেনরি ও লুকি ফার্গুনসনের বোলিং তাণ্ডবে ১৩৬ রানে অলআউট হয় শ্রীলংকা। পরে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলংকার ১৩৭ রানের মামুলি টার্গেট ১৬.১ ওভার খেলেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় নিউজিল্যান্ড। সোফিয়া গার্ডেনে লংকানদের ১০ উইকেটে হারায় কিউইরা। দলের হয়ে অসাধারণ ব্যাটিং করেন দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও কলিন মুনরো। দলের জয়ে ৭৩ রান করেন গাপটিল। আর ৫৮ রান করেন কলিন মুনরো।

শনিবার ইংল্যান্ডের কার্ডিপে বিশ্বকাপের চলমান ১২তম আসরের তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলংকা।

এদিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই একের পর এক উইকেট হারায় শ্রীলংকা। ম্যাট হেনরি এবং লুকি ফার্গুনসনের গতির তাণ্ডবে উড়ে যায় লংকান ব্যাটসম্যানদের স্ট্যাম্প।

ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার লাহিরু থিরিমান্নে। দ্বিতীয় উইকেটে কুশল পেরেরাকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে। এই জুটিতে তারা ৪২ রান করেন।

এক উইকেটে ৪৬ রান করা শ্রীলংকা এরপর মাত্র ১৪ রানের ব্যবধানে ৫ উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়ে যায়।

ইনিংসের শুরু থেকেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন কুশল পেরেরা। ২৪ বলে চারটি চারের সাহায্যে ২৯ রান করতেই বিপদে পড়েন তিনি। তার বিদায়ের পর উইকেটে নেমে কিছু বুঝে ওঠার আগেই একের পর এক সাজঘরে ফেরেন কুশল মেন্ডিস, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও জীবন মেন্ডিস।

শ্রীলংকার ব্যাটিংয়ে ধস নামান ম্যাট হেনরি। তিনি প্রথম ৭ ওভারে ২৯ রানে শিকার করেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট নেন লুকি ফার্গুনসন। আর একটি উইকেট নেন কলিন ডি গ্রান্ডহোম।

ইনিংসের শুরু থেকেই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন শ্রীলংকান অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে। ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন তিনি। প্রথম বল থেকে ইনিংস শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের গতি দানবদের বিপক্ষে একাই লড়াই করেন করুনারত্নে। যোগ্য সঙ্গীর অভাবে দলকে সম্মানজনক স্থানে নিয়ে যেতে পারেননি।

শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে লাসিথ মালিঙ্গার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ২৯.২ ওভারে ১৩৬ রানে অলআউট হয় শ্রীলংকা। দলের হয়ে টানা ১৪৬ মিনিট ব্যাট করে ৮৪ বলে চারটি চারের সাহায্যে ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন লংকান অধিনায়ক করুনারত্নে। নিউজিল্যান্ডের হয়ে তিনটি করে উইকেট শিকার করেন ম্যাট হেনরি ও লুকি ফার্গুনসন।

শ্রীলংকা: ২৯.২ ওভারে ১৩৬ (করুনারত্নে ৫২*, কুশল পেরেরা ২৯, থিসেরা পেরেরা ২৭; হেনরি ৩/২৯, ফার্গুনসন ৩/২২)।

নিউ জিল্যান্ড: ১৬.১ ওভারে ১৩৭/০ (গাপটিল ৭৩*, মানরো ৫৮*; মালিঙ্গা ৫-০-৪৬-০, লাকমল ৪-০-২৮-০, উদানা ৩-০-২৪-০, থিসারা ৩-০-২৫-০, জিবন মেন্ডিস ১.১-০-১১-০)

ফল: নিউ জিল্যান্ড ১০ উইকেটে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: ম্যাট হেনরি