হাতিরঝিলে ফায়ার সার্ভিসের মহড়া

1217

এখন রিপোর্ট।।

একটা ভাসমান বস্তুকে ধরে ভাসছেন অন্তত পনেরজন। কয়েকজন উপরে উঠার চেষ্ঠা করছেন বাকিরা বস্তুটা ধরে পানিতে ভেসে আছেন। এরখম আরও কয়েকটি বস্তুকে ধরে ভাসছে মানুষ। আর এই ভাসমান বস্তুগুলোর চারপাশ দিয়ে চক্কর দিচ্ছে একটি দ্রুত গতির স্পিডবোট। দৃশ্যটা দেখে মনে হতে পারে নৌ-দুর্ঘটনার শিকার হওয়া মানুষদের উদ্ধার করতে এই তৎপরতা চলছে। কিন্তু না মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে রাজধানীর হাতিরঝিল লেকে নতুন কিনে আনা বয়া, ফ্লটিং ডিভাইস ও জেমিনি বোটের পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ মহড়া চালান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা।

ঢাকা বিভাগের উপ-সহকারি পরিচালক ও সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে ২২ সদস্যের ফায়ারকর্মীদের একটি টিম এ মহড়ায় অংশ নেন।

DSC_0603মহড়া সম্পর্কে আনোয়ার হোসেন বলেন, এই বর্ষাকালে সারাদেশে বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা হচ্ছে। এই বন্যার প্রেক্ষিতে কোথাও দুর্ঘটনা হলে আমাদের সেসকল নদী ফায়ার স্টেশন রয়েছে সেগুলো থেকে সঙ্গে সঙ্গে বয়া (গোল আকৃতির ভাসমান বস্তু) সরবরাহ করা সম্ভব হয় না। কারণ আমাদের পর্যাপ্ত বয়া ছিল না।

এছাড়া একসাথে অনেকজনকে ভাসিয়ে রাখতে সক্ষম হলো ফ্লটিং ডিভাইস। এই ডিভাইসটিও সংকট ছিল। একই সাথে দূরে কোনো বিপদগ্রস্থকে দ্রুত বয়া পৌঁছে দিতে রেসকিউ টিমের কাছে জেমিনি বোটও(স্পীড বোটের মতো) পর্যাপ্ত নয়। আর সেজন্য আমাদের মহাপরিচালক অর্ধশতাধিক বয়া, ৫টি ফ্লটিং ডিভাইস ও ৩টি জেমিনি বোট কিনে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি একটি ফ্লটিং ডিভাইস ধরে ১৫ জনের বেশি লোক ভাসতে পারে। এছাড়া জেমিনি বোটের মাধ্যমে কতদ্রুত একজন উদ্ধারপ্রার্থীর কাছে পৌঁছা যায় সেটাও পরীক্ষা করা হয়েছে।DSC_0678

মহাপরিচালককে ধন্যবাদ জানিয়ে আনোয়ার হোসেন বলেন, এই কয়েকটি বোট ও ডিভাইসের মাধ্যমে ফায়ার সার্ভিসের নদী স্টেশনগুলো আরও শক্তিশালী হবে এবং জনমানুষের জানমাল রক্ষায় আরও বেশি তৎপর হতে পারবে।

এখন/আরজে