‘স্যাটেলাইটের বাংলায় শিক্ষক কেন রাস্তায়’

1095

এমপিওভুক্তির দাবিতে চতুর্থ দিনেও আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলনরত নন-এমপিও শিক্ষকরা। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব ফটকের অপর পাশে এ কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায় তাঁদেরকে। এসময় ‘স্যাটেলাইটের বাংলায় শিক্ষক কেন রাস্তায়’, ‘পদ্মা সেতুর বাংলায় শিক্ষক কেন রাস্তায়’ সহ ক্ষোভ নিয়ে নানা স্লোগান দেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিক্ষকরা।

নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভূষণ রায়ের নেতৃত্বে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না বলে শপথ গ্রহণ করেছেন তাঁরা। এ জন্য দেশের বিভিন্ন জেলার নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তাঁরা জানান, গত ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতিতে তাঁরা এমপিওভুক্তির দাবিতে রাজপথের আন্দোলন স্থগিত করেছিলেন। এরপরও তাঁরা বিভিন্ন কর্মসূচিতে পুলিশি আটকের শিকার হয়েছেন। গত ১৬ দিন ধরে বিভিন্ন রকম কর্মসূচির ২৫ জুন থেকে তারা বাধ্য হয়ে এ কর্মসূচি পালন করা শুরু করেছেন। তাঁরা বলেন, অনশনরত শিক্ষকরা গত ২০ থেকে ২৫ বছর আগে সরকারি বিধি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে শিক্ষকতা করে আসছেন। কিন্তু শিক্ষকরা সরকারের সিদ্ধান্তহীনতার কারণে এক টাকাও বেতন পান না। দেশের প্রায় ৮০ হাজার শিক্ষকের জীবনযাত্রার মান অত্যন্ত করুণ ও অবজ্ঞার। এ অবস্থায় তাঁরা নিজেদের পরিবারে বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছেন, যা তাদের পাঠদানের দায়িত্ব থেকে বিরত রাখছে।

v

এদিকে, কর্মসূচিতে শিক্ষক নেতাদের আটকসহ নানা রকম হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। তাঁরা অভিযোগ করেন, তাঁদের ৩৩ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ৭০২ নম্বর ওয়ার্ডের ফ্লোরে চিকিৎসাধীন। সেখানে ১২ জন শিক্ষককে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের সঙ্গে কেউ যোগাযোগ ও কোনো ধরনের আশ্বাসও দেননি বলে উল্লেখ করেন তাঁরা।

উল্লেখ্য, এমপিওভুক্তির দাবিতে গত ২৫ জুন সোমবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের বিপরীতে অনশন শুরু করেন নন-এমপিও শিক্ষকরা। দুপুরের দিকে বৃষ্টি শুরু হলেও বেশির ভাগ শিক্ষক খোলা আকাশের নিচেই অবস্থান করেন। এ সময় তাঁরা মাথার ওপর পলিথিন ধরে বসে থাকেন।