সাজেকে রুইলুই

884

মেঘ পাহাড়ের দেশ সাজেক। ওখানে পাহাড় চূড়ায় মেঘের ঢেউ এসে ভাসিয়ে নেয়। চারপাশে সাদা মেঘের মিছিল আর তার ফাঁকে জেগে থাকা সবুজ ক্যানভাস চোখ জুড়িয়ে দিবে। বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন এলাকা সাজেকে এ দৃশ্য প্রতিদিনের।

23456505_338241106587316_1980830515080575176_oসাজেক ঘুরতে গিয়ে কোথায় থাকবেন, এমন ভাবনা যখন মাথায় ঘুরপাক খাবে, তখন নিশ্চিন্তে মনে করতে পারেন রুইলুই রিসোর্টের কথা। যেনো মেঘের কোলে দাঁড়িয়ে থাকা ছিমছাম ছোট্ট সুন্দর এক বাড়ি। ভ্রমণপ্রিয় মানুষ মির্জা মুশফিকুর সালেহীন (টিংকু) গড়ে তুলে এ ইকো রিসোর্টটি।

বাঁশের তৈরি তিনটি কটেজ নিয়ে রুইলুই। ভেতরের পরিবেশটাও পুরোপুরি প্রাকৃতিক। আধুনিকতার নামে আদিখ্যেতা নেই, তার বদলে আসলে শান্ত, কোমল আন্তরিক এ পরিবেশ। আর তাই তাদের শ্লোগানটিও এমন -‘ এখানে মানুষ কম, পৃথিবী বেশি’।

IMG_0045রুইলুই প্রসঙ্গে টিংকু বলেন, ‘প্রথমে নিজেরা থাকার জন্য এটি বানিয়েছিলাম। পরে যখন দেখলাম, সাজেকে মানুষ থাকার ভালো জায়গার অভাব আছে, তখনই মূলত এটিকে রিসোর্ট বানাই। আমাদের এ রিসোর্টের বিশেষত্ব হচ্ছে, আমরা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশ ধরে রেখেছি। বাঁশের তৈরি কটেজে নিচে পাতা আছে শীতল পাটি। বাইরের খোলা বারান্দা দিয়ে মন ভরে মেঘ- পাহাড় দেখা যাবে।’

25358208_349830725428354_5430590044151667788_oরুইলুইয়ে মোট তিনটি কটেজ আছে। ১২-১৫ জনের টিম অনায়াসে থাকা যাবে এসব কটেজে। তবে রুইলুইয়ের বারান্দা থেকে ঘরে যেতে মন চাইবে না। এতো বড় বারান্দা দিয়ে সূর্যোদয়ের দেখা যেমন পাওয়া যায়, তেমনি মেঘের সঙ্গে মেতে থাকার জন্য এর চাইতে সুন্দর পরিবেশ সম্ভবত আর নেই।

টিংকু জানান, আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অফার দিয়ে থাকি। যাতে করে এদেশের মানুষ দেশটাকে আরও ভালো করে দেখার সুযোগ পায়। এখন অফ সিজন। ২৫ ভাগ ছাড় দেয়া আছে সব কটেজে। আর শিক্ষার্থীরা গেলে তাদের জন্য বাড়তি ছাড় তো আছেই।

ভবিষ্যতে এ রিসোর্টে তাঁবু টানিয়ে রাত্রি যাপনের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে বলে জানান উদ্যোক্তা টিংকু।23559674_339918563086237_1849067566899931542_n