‘সাংবাদিকতার উন্নয়নে একাডেমিক শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম’

580

“বাংলাদেশে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম শিল্পের রূপান্তরের ধারবাহিকতা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে একাডেমিক শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। এতে গণমাধ্যমকর্মীরা নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে যেমন সুযোগ পাবে, তেমনি পেশাদারিত্বের দিক থেকেও হবে আরও উন্নত।”

গত বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া কমিউনিকেশন বিভাগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতার জগতের পথিকৃৎ শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. সাখাওয়াত আলী খান এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞান তৈরি ও উৎপাদনের কারখানা। এখানে শিক্ষকরা শুধু ক্লাস-প্রাক্যটিকালই করাবেন না, সঙ্গে নানামুখী জ্ঞান তৈরিতেও সহায়তা করবেন।”

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তৃতায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও জানিপপ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, বস্তুনিষ্ঠতাই সাংবাদিকতার মূল শক্তি। আমরা যেখানে, যে পরিবেশেই সাংবাদিকতা করি না কেন, নৈতিক জায়গা ঠিক না হলে মূল উদ্দেশ্য হাসিল হবে না।

Green Univ Press_JMC-3

তথ্য কমিশন বাংলাদেশের সাবেক তথ্য কমিশনার ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি ও সরকার বিভাগের সদ্য সাবেক অধ্যাপক ড. খুরশীদা বেগম বলেন, “শুধু পঠন-পাঠন কিংবা পুঁথিগত বিদ্যা নয়, সৃজনশীল কর্মকাণ্ডেও নিজেদের সম্পৃক্ত করতে হবে। আর এটাই সাংবাদিকতা বিভাগের অন্যতম উদ্দেশ্য।”

সভাপতির বক্তব্যে গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বলেন, “দেশীয় মিডিয়ায় প্রতিভাবান কর্মী উপহার দিতেই এই উদ্যোগ।”

এর মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াসহ সাংবাদিকতা ও যোগাযোগ জগতের সকল প্রতিষ্ঠান উপকৃত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফৈয়াজ খান বলেন, “সাংবাদিকতা বিভাগ চালুর মাধ্যমে নতুন চারা রোপিত হলো। এটিই একদিন বৃহৎ পরিসরে রূপান্তরিত হবে।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- ডিন অধ্যাপক ড. গোলাম আহমেদ ফারুকী, গণমাধ্যমের শিক্ষক আনিস পারভেজ, ড. আফজাল হোসেন খান, ড. অলিউর রহমান, এইচ এম বজলুর রহমান, চলচ্চিত্র পরিচালক জাকির হোসেন রাজু প্রমুখ।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে গণমাধ্যমের উন্নয়নের কথা ভেবে ২০০৩ সালে ফিল্ম-টেলিভিশন অ্যান্ড ডিজিটাল মিডিয়া (বর্তমানে জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া কমিউনিকেশন) বিভাগ প্রতিষ্ঠা হয়। দেশবরেণ্য নাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা আব্দুল্লাহ আল মামুন এই বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা।