যৌন সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়ে শান্তিতে নোবেল পেলেন ২ কর্মী

1008

যৌন নিপীড়নকে যুদ্ধের হাতিয়ার করার প্রচেষ্টা বন্ধে ভূমিকা রাখায় এ বছর যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জিতে নিলেন কঙ্গোর চিকিৎসক ডেনিস মুকওয়েজ ও ইয়াজিদি নারী নাদিয়া মুরাদ।

শুক্রবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টার দিকে অসলোতে নরওয়ের নোবেল অ্যাকাডেমি আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের নাম ঘোষণা করে।

১৯০১ সাল থেকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। তখন থেকে এ পর্যন্ত ৯৯ বার নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হলো। পুরস্কারের ছয়টি ক্যাটাগরির মধ্যে পাঁচটি ক্যাটাগরির বিজয়ী সুইডিশ নোবেল কমিটি ঘোষণা করলেও শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের ঘোষণা নরওয়ে কমিটি দিয়ে থাকে। এ পর্যন্ত নোবেল পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছেন একজন। তিনি হলেন ভিয়েতনামের বিপ্লবী, কূটনীতিবিদ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব লি ডাক থো। এ পর্যন্ত শান্তিতে নোবেল প্রাপ্তদের মধ্যে ২৪টি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।

১৮৯৫ সালের নভেম্বর মাসে আলফ্রেড নোবেল তার মোট উপার্জনের ৯৪% (৩ কোটি সুইডিশ ক্রোনার) দিয়ে তার উইলের মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করেন। এই বিপুল অর্থ দিয়েই ১৯০১ সাল থেকে শুরু হয় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান। ১৯৬৮ তে তালিকায় যুক্ত হয় অর্থনীতি। তবে পুরস্কার ঘোষণার আগেই মৃত্যুবরণ করেছিলেন আলফ্রেড নোবেল। আইনসভার অনুমোদন শেষে তার উইল অনুযায়ী নোবেল ফাউন্ডেশন গঠিত হয়। তাদের ওপর দায়িত্ব বর্তায় আলফ্রেড নোবেলের রেখে যাওয়া অর্থের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন করা এবং নোবেল পুরষ্কারের সার্বিক ব্যবস্থাপনা করা। আর বিজয়ী নির্বাচনের দায়িত্ব সুইডিশ একাডেমি আর নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটিকে ভাগ করে দেয়া হয়।

প্রতি বছর ছয়টি ক্যাটাগরিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হলেও সুইডিশ নোবেল অ্যাকাডেমিতে একটি যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনায় তৈরি হওয়া অস্থিরতাকে কেন্দ্র করে এ বছরের সাহিত্যে নোবেল স্থগিত করা হয়। জানানো হয়, ২০১৯ সালে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী নাম ঘোষণার সময় ২০১৮ সালের বিজয়ীর নামও ঘোষণা করা হবে।