রাবি শিক্ষার্থীকে পেটালেন পুলিশ কনস্টেবল!

577

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্বরত এক পুলিশ কনস্টেবল।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটে তাকে মারধর করে বলে জানা যায়। পরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে ঘটনার জন্য ‘সরি’ বলেন মতিহার জোনের সহকারী কমিশনার মাসুদ রানা।

ভুক্তভোগী হুমায়ন কবির নাহিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রলীগের কর্মী। তবে মারধরে অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবলের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেট দিয়ে বাইক নিয়ে প্রবেশকালে নাহিদের বাইক আটকে কাগজপত্র দেখতে চান পুলিশ সদস্যরা। নাহিদ নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরিচয় দিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকতে চাইলেও পুলিশ তার কাগজপত্র দেখতে চান। তখন নাহিদ তার বাইকের কাগজপত্র দেখান। গাড়ির কাগজে নাহিদের নাম ছিল না, সেখানে তার বড় ভাইয়ের নাম ছিল।

তখন সহকারী কমিশনার মাসুদ রানা অর্ডার করেন নাহিদকে থানায় তুলে নিয়ে যেতে। এ সময় এক পুলিশ কনস্টেবলের সঙ্গে নাহিদের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ওই কনস্টেবল নাহিদকে মারধর করে ও টেনে হিঁচড়ে থানায় তুলে নিয়ে যায়।

এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বিনোদপুর গেটে গিয়ে দায়িত্বরত অন্য পুলিশদের আটক করে রাখে এবং বিক্ষোভ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য নাহিদকে থানা থেকে ফের ক্যাম্পাসে ফেরত নিয়ে আসা হয়। এ সময় পুলিশ এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু পুলিশের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা পুলিশের সহকারী কমিশনার মাসুন রানা শিক্ষার্থীদের কাছে এ ঘটনার জন্য ক্ষমা চান এবং জড়িত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

জানতে চাইলে মতিহার থানার (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, ‘এখানে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তা থেকে এ ঘটনার সূত্রপাত। মারধরকারী পুলিশের বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি ক্যাম্পাসের বাইরে ছিলাম। ঘটনাটি শোনার পরই আমি সেখানে দুইজন সহকারী প্রক্টর পাঠিয়েছি।’