যে জাদুঘর চকলেটের

634

নামটাই অন্যরকম ‘চকলেট মিউজিয়াম’। কী আছে এ জাদুঘরে? নাকি আস্ত জাদুঘরটিই তৈরি হয়েছে চকলেট দিয়ে? নাম শুনে এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাওয়াটাই স্বাভাবিক। সেসবের উত্তর খুঁজতে গিয়ে যা পাওয়া গেলো, তা রীতিমতো চমকে ওঠার মতো। জার্মানির কোলন শহরে ৪ হাজার বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে তৈরি করা হয়েছে এ জাদুঘরটি। জাদুঘরটিতে সংরক্ষণ করা হয়েছে চকলেট আর কোকোর পুরোনো ইতিহাস। ২শ কিংবা ৪শ বছর পুরোনো ইতিহাস নয়, এ মিউজিয়ামে পাওয়া যাবে ৩ হাজার বছর পুরোনো চকলেটের গল্প।

222222222222222জাহাজের আদলে নির্মিত এ জাদুঘরটির উদ্যোক্তা হান্স ইমহোফ। বিশ্ববিখ্যাত চকলেট কোম্পানি ‘স্টলভের্ক’এর প্রতিষ্ঠাতা তিনি। হান্স তার প্রিয় শহর কোলনকে এ জাদুঘরটি উপহার দিয়েছেন। মিউজিয়ামটিতে পাওয়া যাবে ২০ জাতের কোকোর পরিচয়। কোকো কীভাবে চাষ করতে হয়, কীভাবে সেটা হাজির হয় সবার সামনে, সবকিছুই জানা যাবে এ জাদুঘর ঘুরে এলে।

চকলেট লাভারদের জন্য এ এক ভিন্ন জগত। চকলেটের রাজ্যে হারিয়ে যাওয়ার মতো একটা ব্যাপার আছে মিউজিয়ামটিতে। কারণ জাদুঘরটিতে তৈরি করা হয়েছে চকলেটের তৈরি ৩ মিটার উঁচু ঝর্ণা। এই ঝর্ণা দেখলে ঝর্ণার চকলেট কেমন স্বাদের তা জানতে ইচ্ছা করবেই! চিন্তার কোনো কারণ নেই, ব্যবস্থা আছে! এখানে আসলেই একটি করে বিস্কুট দেওয়া হবে আপনাকে গরম চকলেটে ডুবিয়ে খাওয়ার জন্য।

মিউজিয়ামের ভেতরেই আছে একটি ক্যাফে। চকলেটের তৈরি বাহারি খাবার পাওয়া যায় ওখানে। চকলেট থেকে শুরু করে এমন কোনো খাবার নেই, যা পাওয়া যায় না এই ক্যাফেতে। রাইন নদীর অপরূপ সৌন্দর্যও উপভোগ করা যাবে এ ক্যাফেতে বসে। ৃ