মেসি চমকে শেষ আটে বার্সা

751

কাম্প নউয়ে বুধবার রাতে শেষ ষোলোর ফিরতি পর্বে ফরাসি ক্লাবটিকে ৫-১ গোলে হারায় এরনেস্তো ভালভেরদের দল।

ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দুর্দান্ত রূপে আবারও নিজেকে মেলে ধরলেন লিওনেল মেসি। জোড়া গোল করার পাশাপাশি দুই সতীর্থ দিয়ে করিয়েছেন দুই গোল। অধিনায়কের এমন জাদুকরী পারফরম্যান্সে লিওঁকে উড়িয়ে দিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে পা রাখলো বার্সেলোনা।

মেসির গোলে বার্সেলোনা এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফিলিপে কৌতিনিয়ো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে একটি গোল শোধ করেন লুকা তুজা। কিছুক্ষণ পর ব্যবধান আবারও বাড়ান মেসি। আর শেষ দিকে জেরার্দ পিকে ও উসমান দেম্বেলের গোলে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কাতালান ক্লাবটি।

ম্যাচের ১৭ মিনিটে অধিনায়কের স্পট কিকেই কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় বার্সেলোনা। মেসির বাড়ানো বল ধরে ডি-বক্সে ঢোকা লুইস সুয়ারেস ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

৩১তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল। বল পায়ে ডি-বক্সে ঢুকে একজনকে কাটিয়ে এগিয়ে যান সুয়ারেস। তাকে বাধা দিতে ছুটে আসেন গোলরক্ষক। আর সেই সুযোগে বাঁ দিকে ফাঁকায় বল বাড়ান উরুগুয়ের স্ট্রাইকার। অনায়াসে প্লেসিং শটে গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার কৌতিনিয়ো।

৭৮তম মিনিটে দারুণ নৈপুণ্যে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মেসি। সের্হিও বুসকেতসের পাস পেয়ে ডি-বক্সে এক ঝটকায় দুজন ডিফেন্ডারকে ফেলে দিয়ে শট নেন পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার। বল ঝাঁপিয়ে পড়া গোলরক্ষকের হাতে লেগে গড়িয়ে গড়িয়ে ভিতরে ঢোকে।

ক্লাব ফুটবলের ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতায় এবারের আসরে মেসির এটি অষ্টম ও সব মিলিয়ে ১০৮তম গোল। আর ঘরের মাঠে ৬১ ম্যাচে হলো ৬২ গোল।

এরই সঙ্গে টানা ১১ মৌসুমে ক্লাবের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে কমপক্ষে ৩৫টি করে গোল করার কীর্তি গড়লেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক।

৮১তম মিনিটে দলের চতুর্থ গোলে বড় অবদান রাখেন মেসি। মাঝমাঠ থেকে বল পায়ে এগিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে বাঁয়ে পাস দেন পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার। ছুটে এসে বাঁ পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন পিকে।

পাঁচ মিনিট পর আবারও মেসি জাদু। মাঝমাঠের কাছ থেকে বল নিয়ে এগিয়ে বাঁ দিকে পাস বাড়ান তিনি। দ্রুত ডি-বক্সে ঢুকে ফাঁকায় বল কোনাকুনি শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন কৌতিনিয়োর বদলি নামা দেম্বেলে।

এই নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ঘরের মাঠে টানা ৩০ ম্যাচ অপরাজিত (২৭ জয়, তিন ড্র) থাকলো বার্সেলোনা, যা প্রতিযোগিতাটির রেকর্ড।