মেক্সিকোকে হারিয়ে কোয়ার্টারে ব্রাজিল

734

জার্মানি, আর্জেন্টিনা, স্পেন চলে যাওয়ার পর পুরো বিশ্ব তাকিয়ে ছিলো ব্রাজিল-মেক্সিকো ম্যাচের দিকে। কিন্তু আর্জেন্টিনা, স্পেনের মতো ভুল করেনি সেলেসাওরা। মেক্সিকোকে ২-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেলো পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল।

খেলার শুরুর পঞ্চম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেয়া নেইমারের জোরালো শট রুখে দেন মেক্সিকান গোলরক্ষক ওচোয়া। ১৫তম মিনিটের মাথায় লোজানোর প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে হতাশা বাড়ে মেক্সিকানদের। ১৭ মিনিটে আবারো লোজানোর জোরালো শট, এবার বল ক্লিয়ার করেন উইলিয়ান।

২২ মিনিটের মাথায় ফাঁকায় দাঁড়ানো গালার্দোর জোরালো শট নিলেও ব্রাজিল ডিফেন্সে বাধা পায়। ২৫ মিনিটে নেইমারের দারুণ ড্রিবলিং গোলের সুযোগ করে দিয়েছিল। এবারো প্রস্তুত ছিলেন মেক্সিকান গোলরক্ষক ওচোয়া। দারুণ এক সেভ করেন তিনি। পরের মিনিটে গোলবারের ঠিক সামন থেকে জেসুস শট নেন, বল বাধা পায় মেক্সিকান ডিফেন্সে। ফিরতি বলে কৌতিনহো শট নিলেও বল চলে যায় গোলপোস্টের উপর দিয়ে।

৩০ মিনিটে কার্লোসের শট ব্রাজিলের পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। ৩৩ মিনিটে জেসুসের শট রুখে দেন ওচোয়া। পরের মিনিটে কৌতিনহোর শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন মেক্সিকান ডিফেন্ডাররা।

শেষ পর্যন্ত আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ হলেও কোন গোল ছাড়াই বিরতিতে যেতে হয় উভয় দলকে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আক্রমণের ধার বাড়ায় ব্রাজিল। ৫১ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে একাই বল টেনে নিয়ে যেতে থাকেন নেইমার। ডি বক্সের সামান্য বাইরে উইলিয়ানকে দুর্দান্ত ব্যাক পাস দেন তিনি। উইলিয়ান বল নিয়ে ভেতরে ঢুকে নেইমারকে পাস দিলে দুর্দান্ত গোল করেন নেইমার। বিশ্বকাপে এটি তার দ্বিতীয় গোল।

এরপর কৌতিনহোকে ‍উঠিয়ে ফার্নান্দিনহোকে মাঠে নামান কোচ তিতে। ফার্নান্দিনহো মাঠে নেমেই একটি ‘কী’ পাস দেয় নেইমারকে। দুর্দান্ত ড্রিবলিং করে ডি-বক্সে ঢুকে যান তিনি। এরপর ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে মাটি ঘেসে শট নেন নেইমার। কিন্তু ওউচুয়া সে বল ঠেকিয়ে দিলেও ফিরতি বল পেয়ে গোল করেন কৌতিনহোর বদলি নামা ফিরমিনো। ফলে ২-০ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে হেক্সা মিশনে নামা ব্রাজিল।