মিথ্যাচার করে কোন আন্দোলন সফল হয় না —চৈতালী হালদার চৈতী

3069

বলছি আমাদের বোন শ্রাবণী শায়লার কথা…যাকে নিয়ে নানা কুপ্রচারে নেমেছেন ষড়যন্ত্রকারীরা..।

একদিনে ২০ টা ফেক আইডি খুলে জাতির কাছে ক্ষমাও চাইয়ে ফেলেছেন অলরেডি।আত্মরক্ষা করাটা যদি অপরাধ হয় তবে আমার বোন সেটি করেছে…

ওর পেটে যে ভয়াবহ রকম আঘাত লেগেছে এবং তাতে ও মারাত্মক ভাবে আহত তার জলন্ত সাক্ষী আমি নিজে..।সেদিন বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল থেকে ওকে যখন বেটার ট্রিটমেন্টের জন্য ডিএমসি তে নিয়ে যাই তখন ওর চিৎকার আমি সইতে পারছিলাম না।কয়েকটি হাই পাওয়ার পেইনকিলার দিয়েও ওর কষ্ট কমানো যাচ্ছিল না।পরে ওকে উন্নত চিকিৎসার জন্য BSMRMU তে নিয়ে আসা হয়েছে।আজ সকালে ডাক্তার বলছে এখনো তিনদিন ওকে এখানেই থাকতে হবে। এটা ভুল কি ঠিক তা বিচারের চ্যালেঞ্জ আপনাদেরকে দিলাম।

এখন প্রশ্ন হল স্যোসাল মিডিয়ায় যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে সেটি আপনারা ভাল করে লক্ষ করুন। দয়াকরে একচোখ বন্ধ করে দেখবেন না।দীপ্তি নামের ওই মেয়েটির কোন ওড়নাই ছিল না গায়ে,যেটি দেখা যাচ্ছে সেটি হল শীতের পোশাক, সেটি ওর হাতেই ছিল, গায়ে পরাও ছিল না।আর শ্রাবণী ওর কোন কাপড় ধরে টানে নি।ওর হাত ধরেছে সেই ছবি কে অস্পষ্ট করে ছেড়ে দিয়ে বোঝানো হচ্ছে ও শীলতাহানির চেষ্টা করছে।এটা পুরোটাই ভুল, মিথ্যা, সাজানো।যেমন ভাবে সাজানো মিথ্যা নাটক সাজিয়ে দীপ্তিকে আইসিইউতে বলে নাটক করা হয়েছে।তারা যে নাটক সাজিয়ে ছাত্রলীগকে শুধু বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছে তার যথেষ্ঠ প্রমান আছে।

ডিবিসি এই ঘটনার যে লাইভ করেছে সেখানে ওই মেয়ে দাড়িয়ে দাড়িয়ে বলছে তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে।এবং এজন্য তাকে নেবুলাইজার দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।আমি নিজেও শ্বাসকষ্টের রোগী। এমন গেট ভাংচুর করে আন্দোলন করতে গিয়ে দৌড়াদৌড়ি করলে এমনিতেই শ্বাসচাপ বেড়ে যায়, ৫ মিনিট নেবুলাইজ্ড করলে শ্বাস স্বাভাবিক হয়ে যায়। সেই মেয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে ক্যাম্পাসে।

তাই শুধু শুধু শ্রাবণীকে কেন্দ্র করে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করবেন না।এতে কোন লাভ হবে না।

ঠিক একই ভাবে লিটন নন্দী মাথায় কোন আঘাত না পেয়েও ব্যান্ডেজ পরে হাসপাতালে শুয়ে অভিনয় করছেন। মিথ্যাচার করে কোন আন্দোলন করে সফল হওয়া যায় না এটা ভুলে যাবেন না।

লেখক -সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ