বড় প্রকল্পে অপ্রতুল বরাদ্দে হতাশা

1135

এখন রিপোর্ট।।

নতুন বাজেটে চট্টগ্রাম বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে কোনো বরাদ্দ না রেখে রাজস্ব আয় বাড়ানোর ওপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে বন্দরকেন্দ্রিক ব্যবসায়ীরা তাঁদের ওপর শুল্ক করের চাপ বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন। আবার বড় প্রকল্পে বরাদ্দ থাকলেও সেটাকে অপ্রতুল বলছেন চট্টগ্রামের নাগরিকেরা।
জাতীয় সংসদে ২ জুন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের উত্থাপিত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে এভাবেই চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী ও নাগরিকেরা তাঁদের হতাশার কথা বলেন। তাঁরা বলেন, বাজেটে চট্টগ্রামে আউটার রিং রোড ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার নতুন রেলপথ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ রাখা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের পরিচালক ও বিএসএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল বশর চৌধুরী বলেন, ‘অবকাঠামো সমস্যার কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে দিনের পর দিন জাহাজ ভেসে থাকে। এতে নির্ধারিত সময়ে পণ্য খালাস না হলে একেক দিন দেরির জন্য একেকটি জাহাজ ১০ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ নেয়। এভাবে ৬০-৭০ শতাংশ জাহাজ সারা বছর আমদানিকারকদের কাছ থেকে কোটি কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ নিয়ে যাচ্ছে। আর আমরা আমদানি পণ্যের দাম বাড়িয়ে তা ভোক্তাদের কাছ থেকে আদায় করে নিচ্ছি। অথচ চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলে এসব ক্ষতিপূরণ বিদেশে যেত না।’
বিভিন্ন প্রকল্পে অপ্রতুল বরাদ্দ দেখে হতাশ হয়েছেন বলে জানান এশিয়ান অ্যাপারেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এম এ ছালাম। তিনি বলেন, ‘দেশের ‘‘লাইফলাইন’’ খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চার লেনের কাজ সাত বছরেও শেষ করতে পারেনি সরকার। বরাদ্দ অপ্রতুল হলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হয় না। এর প্রভাব ব্যবসায়ীসহ সবার ওপর পড়ে। এতে বিশেষ করে জনগণের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি হয়। তাই সরকার দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের আস্থার সংকট দূর করবে বলে আশা করি।’
এম এ ছালাম আরও বলেন, অর্থমন্ত্রী রাজস্ব আদায়ে জোর দিয়েছেন। কিন্তু বন্দরের অবকাঠামো ও যোগাযোগব্যবস্থার কতটুকু উন্নয়ন হয়েছে, সেটিও বিবেচনায় নিতে হবে।
কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক জহির উদ্দীন আহমদ বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে মূল শহরে আসতে বন্দর ও ইপিজেড এলাকায় দীর্ঘ যানজটে পড়তে হয়। এ কারণে বিদেশি ক্রেতারা চট্টগ্রামে আসতে চান না। বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে চট্টগ্রামে একটি ট্রাক টার্মিনাল থাকার কথা। আমরা শুনেছি, এটি করতে হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় হবে। তবে এ ব্যাপারে বাজেটে কোনো বরাদ্দ বা আশার কথা অর্থমন্ত্রী শোনাননি।’

এখন/এসএস