ব্রাজিলের পাশে সুইজারল্যান্ড

858

জেরদান শাকিরি গোলটা না পেলে একটু অপূর্ণতা থেকে যেত কালিনিনগ্রাদে। পুরো ম্যাচে কী দুর্দান্তই না খেললেন সুইস মিডফিল্ডার। মাঝ মাঠ সামলালেন, বল বানিয়ে দিলেন সতীর্থদের। সুইজারল্যান্ডের সাতটি গুরুত্বপূর্ণ পাস তাঁরই দেওয়া। কখনো নিজেই আক্রমণ করলেন। প্রয়োজনে নিচেও নেমে এলেন। পুরোটা মাঠ জুড়ে খেলা শাকিরি রঙে রঙে রাঙিয়ে দিলেন একেবারে শেষ মুহূর্তে। ৯০ মিনিটে তাঁর গোলেই জিতল সুইজারল্যান্ড।

এই বিশ্বকাপে পিছিয়ে থেকেও জয়ের দেখা পাওয়া প্রথম দল সুইজারল্যান্ডের পয়েন্ট হলো ব্রাজিলের সমান। দুই দলেরই পয়েন্ট এখন ৪। ২৭ জুন ব্রাজিল, সুইজারল্যান্ড, সার্বিয়া তিন দলকেই নামতে হবে দ্বিতীয় পর্বে যাওয়ার লড়াইয়ে।

শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি সুইসদের। দুসান তাদিচের ক্রসে হেড করে ম্যাচের ৫ মিনিটেই সার্বিয়াকে এগিয়ে নেন আলেকসান্দার মিত্রোভিচ। প্রথমার্ধে সার্বিয়া তবুও ম্যাচে ছিল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই দেখা গেল অন্য সুইজারল্যান্ডকে। সুইসদের সাঁড়াশি আক্রমণে টালমাটাল সার্বিয়ার রক্ষণ। ৫২ মিনিটে শাকিরির শট রিবাউন্ড হয়ে গিয়েছিল জাকার কাছে। বক্সের বাইরে থেকে গোলার মতো এক শটে লক্ষ্য ভেদ করলেন সুইস মিডফিল্ডার। সমতায় ফিরল সুইজারল্যান্ড।

ড্র নয়, সুইজারল্যান্ড চেয়েছে ম্যাচটা জিততেই। সুইসদের একের পর এক আক্রমণে ঠেকাতে ব্যস্ত থাকতে হলো সার্বিয়াকে। একই গ্রুপে আজ ব্রাজিল-কোস্টারিকার ম্যাচ যেমন নির্ধারণ হয়েছে খেলার অন্তিম মুহূর্তে। এই ম্যাচেও সেটি হলো। আর ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিলেন শাকিরি। ৯০ মিনিটে মারিও গাভরানোভিচের বাড়িয়ে দেওয়া বল প্রায় মাঝমাঠ থেকে একাই টেনে ঢুকে পড়লেন সার্বিয়ার বক্সে। গতি, বুদ্ধি আর শক্তির মিশেলে হার মানালেন প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক ও ডিফেন্ডারকে। বাঁ পায়ের নিখুঁত ফিনিশিংয়ে গোল করেই খুলে ফেললেন জার্সি, তিনি যেন সুইসদের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো!

জার্সি খুলে ফেলায় শাকিরিকে অবশ্য হলুদ কার্ড দেখতে হলো। তাতে কী! যে দুর্দান্ত খেলেছেন, পিছিয়ে থেকেও দলকে যেভাবে জিতিয়েছেন, এমন উদ্‌যাপন শাকিরিকেই মানায়!