বীরের বেশে ফিরলেন মুস্তাফিজ, মাথায় গোলাপের মুকুট

1275

আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের ম্যাচে যেমন তার চারটি ওভার দেখার জন্য সবার চুলছেঁড়া অপেক্ষা ছিল, ঠিক তেমনই যেন সোমবার (৩০ মে) সন্ধ্যার পর থেকে অপেক্ষা শুরু হলো ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। রাত সাড়ে ৯টায় যে ক্রিকেটের ‘জুলিয়াস সিজার’ মুস্তাফিজুর রহমান দেশে ফিরবেন। যিনি সদ্যসমাপ্ত আইপিএলে ‘গেলেন, খেললেন, জয় করলেন’।

কিন্তু রাত সাড়ে ৯টায়ও তার ফ্লাইটের অবতরণের খবর মিলছিলো না, বিজয়ী বীরের প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষাটা আরও বাড়লো। অবশেষে নামলেন তিনি। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিমানবন্দরে অবতরণ করলো তাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি।

আনুষ্ঠানিকতা সারতে সারতে সময় লাগলো আর কিছুটা। তারপর তার উজ্জ্বল মুখ আলো ছড়াতে থাকলো বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জের অভ্যর্থনা কক্ষে। ‘বীর’ মুস্তাফিজ সামনে এগোতেই ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়সহ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কর্মকর্তারা এগিয়ে গেলেন। কালো বুট, নেভি ব্লু জিন্স প্যান্ট আর হলুদ টি-শার্ট গায়ে সাদামাটা মুস্তাফিজ আইপিএল জয় করে এলেও তার ‘বেশ’টা ঠিক যেন বিজয়ীর মতো লাগছিল না।

আরিফ খান জয় ও অন্যান্য কর্মকর্তারা নিয়ে গেলেন লাল গোলাপের মুকুট। মাথায় পরিয়ে দিলেন সেই মুকুট। গলায় দিলেন গাজরা ফুলের মালা। এবারই যেন মুস্তাফিজকে ‘আইপিএল’ জয় করে আসা ক্রিকেটের ‘জুলিয়াস সিজার’র মতো লাগতে লাগলো। তারপর উপমন্ত্রীসহ কর্মকর্তারা মুস্তাফিজের হাতে তুলে দিলেন ফুলের তোড়া।

সবার সঙ্গে শুরু হলো শুভেচ্ছা বিনিময় পর্ব। মুখে সেই শিশুসুলভ হাসি নিয়েই মুস্তাফিজ একে একে সবার সঙ্গে করমর্দন করে গেলেন।

এরপর মিষ্টি পর্ব। আইপিএলে ‘বাংলাদেশি ক্রিকেটারের জাত’ চিনিয়ে আসা মুস্তাফিজের মুখে মিষ্টি তুলে দিয়ে উপস্থিত সবাইকে মিষ্টিমুখ করানো হলো।

মিষ্টিমুখ পর্বের মধ্যেই অভ্যর্থনা কক্ষে বসে মুস্তাফিজ বলতে থাকলেন তার আইপিএল জয়ের গল্প, যে গল্প বিস্ময়ভরে দেখেছে পুরো ক্রিকেট বিশ্ব। যে গল্পের শেষ লাইনগুলো এমন, ‘প্রথমবারের মতো আইপিএল খেলতে গিয়ে শিরোপার স্বাদ পেয়েছেন মুস্তাফিজ। রোববার ফাইনালে মুস্তাফিজের সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকে ৮ রানে হারিয়ে নবম আসরের শিরোপা জেতে। এই জয়ের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে মুস্তাফিজ-ভুবনেশ্বরের ডেথ ওভারের বোলিংকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন ক্রিকেটবোদ্ধারা।