বিশ্ববাজারে প্রবেশ করল ওয়ালটন ল্যাপটপ

1017

দেশে তৈরি ল্যাপটপ রফতানি শুরু করেছে দেশীয় ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য ব্র্যান্ড ওয়ালটন। তাই ল্যাপটপ কম্পিউটার উৎপাদক থেকে রফতনিকারক দেশে পরিণত হলো বাংলাদেশ।

সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘ইনঅগোরেশন সিরিমনি অব ওয়ালটন ল্যাপটপ এক্সপোর্টেশন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

ওয়ালটনের পক্ষে রফতানি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এসএম রেজাউল আলম। নাইজেরিয়ার পক্ষে ছিলেন- আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন বেজ নাইজেরিয়া লিমিটেডের পরিচালক ডেভিড নোনে।

এসময় ওয়ালটনকে অভিনন্দন জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি সুযোগ সবার জন্যই সমান। কিন্তু ওয়ালটন সে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। অল্প সময়ের মধ্যে তারা প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন করে দেশে সুনাম কুড়িয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রফতানিকারক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। কম্প্রেসার এবং ল্যাপটপের মতো মানসম্পন্ন নতুন প্রযুক্তির বৃহৎ পণ্য উৎপাদনের তারা সফল হয়েছে।’

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ওয়ালটন ল্যাপটপ রফতানির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি স্বপ্নপূরণ হলো। তিনি চেয়েছিলেন দেশেই ল্যাপটপ কম্পিউটারের মতো প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন হবে এবং মেইড ইন বাংলাদেশ লেখা নিয়ে তা রফতানি হবে। ওয়ালটন আজ তা সফল করলো।’

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ওয়ালটন প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনে যে সাফল্য দেখিয়েছে তা অন্যান্য দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য অনুকরণীয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে ওয়ালটন আমাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে।’

ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ জানায়, ওয়ালটনের তৈরি ল্যাপটপ কম্পিউটারের প্রথম রফতানি আদেশ এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম সমৃদ্ধশালী দেশ নাইজেরিয়া থেকে। শুরুতে ৫০০ ইউনিট ল্যাপটপ নাইজেরিয়ায় পাঠাচ্ছে ওয়ালটন। প্রতিবেশি দেশ নেপাল থেকেও এরইমধ্যেই ল্যাপটপ রফতানির আদেশ পেয়েছে ওয়ালটন। ভূটান এবং পূর্ব তিমুরেও ওয়ালটন ল্যাপটপ রফতানির বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।