বিশ্বকে তাক লাগিয়েছে এক বাংলাদেশি নির্মাণ শ্রমিক

677

বাংলাদেশী প্রবাসী এক নির্মাণ শ্রমিককে নিয়ে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেটে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন ওই শ্রমিকের একটি ছবির ওপর। তার বিস্ময়কর চাহনি, চোখের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সবাই। ফলে তাকে নিয়ে একটি সচিত্র রিপোর্ট প্রকাশ করেছে মালয়েশিয়ার স্টার অনলাইন।

বাংলাদেশী ওই প্রবাসী শ্রমিকের নাম জানা যায় নি। তবে তাকে অনেকে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে ব্যবহৃত ছবিগুলোর সঙ্গে তুলনা করেছেন। তার চাহনির মধ্যে রয়েছে এক দৃঢ়চেতা মনোবল। তার চোখ রূপালি। ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে আছেন একদৃষ্টে।

গত বৃহস্পতিবার ২১ শে মার্চ এই ছবিটি প্রথম পোস্ট করেন আবেদেন মুং। তারপর তা ভাইরাল হয়ে গেছে। তা রিটুইট হয়েছে ২৪ হাজার ৫০০ বার। লাইক করেছেন ৬৮ হাজার ৭০০ মানুষ। আবেদেন মুং এই ছবিটি জালান আইপোর কাছে এমআরটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান থেকে ধারণ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন টুইটে।

এ বিষয়ে আবেদেন মুং বলেছেন, আমি একটি ভøগে কাজ করছিলাম। ঠিক তখনই ওই ব্যক্তিকে দেখতে পাই। কিন্তু ওই সময় আমি অন্য একটি বিষয় ক্যামেরাবন্দি করছিলাম বলে তার ছবি নেয়ার সুযোগ পাই নি। তবে আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে তাকে সেই একই স্থানে পেয়ে গেলাম। ফলে দ্রুততার সঙ্গে আমার আইফোন এক্সএস ম্যাক্স থাকা সত্ত্বেও দ্রুততার সঙ্গে প্রস্তুত করে নিলাম পিক্সেল ২ এক্সএল। কারণ, ওই ফোনে আমি তখন টেক্সট ম্যাসেজ লিখছিলাম।

তিনি আরো বলেছেন, যেখান থেকে বাংলাদেশী ওই প্রবাসীর ছবি ধারণ করেছেন সেখানে আলো ছিল ছবি ধারণ করার জন্য উত্তম। আর তার পোশাকও ছিল ভাল। তার চোখ এমন দেখাচ্ছিল, যাতে তা ফটোগ্রাফে ধারণ না করে কোনো উপায়ই ছিল না। ফলে তার ছবি ধারণ করাটাই তখন আমার কাছে উত্তম ছিল।

বাংলাদেশী ওই প্রবাসী সম্পর্কে তিনি টুইটে আরো লিখেছেন, ওই বাংলাদেশী ছিলেন অত্যন্ত লাজুক। বাস্তবেই তিনি জানেন না কোনদিকে তাকাতে হবে। এটা এ জন্য হতে পারে যে, আমি ফোনে তার ছবি তুলছিলাম। আমি অনেকবার তাকে ক্যামেরার দিকে আনার চেষ্টা করলাম। ছবি তুললাম। কিন্তু সেগুলো যথেষ্ট ভাল ছিল না। এমনটা চলতেই থাকে, যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি সত্যিকার অর্থে মোবাইলের ক্যামেরার দিকে না তাকিয়েছেন। তারপরই চূড়ান্ত দফায় তাকে আমি ধারণ করতে পেরেছি। এটা কি সুন্দর নয়?

আবেদেন মুং-এর এমন টুইটের জবাবে অনেকে বলেছেন বাংলাদেশী ওই যুবকের চাহনি দৃষ্টিকাড়া। তিনি দৃঢ়চেতা। চিমপেং নামে একজন টুইটের জবাবে লিখেছেন, তার চোখ বিস্ময়কর। মিসি জোর-এল নামে একজন লিখেছেন, ওর মুখটা খুবই সুন্দর। তার ‘বোন স্ট্রাকচার’ বা মুখের গাঠনিক কাঠামো বিস্ময়কর।

ড্রিউওয়েহ বলেছেন, এই ছটিটি ১৯৮৪ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের একটি প্রচ্ছদে ব্যবহৃত শরবত গুলা’র কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। ওই ছবিটি ধারণ করেছিলেন সাংবাদিক স্টিভ ম্যাকারি। উল্লেখ্য, শরবত গুলা একজন আফগান  মেয়ে। তার চোখ সবুজ। মাথায় ছিল লাল স্কার্ফ। তাকিয়ে ছিলেন ক্যামেরার দিকে।

আবেদেন মুং-এর ওই ছবি ও টুইটের জবাবে আরো টুইটার ব্যবহারকারী গুগল পিক্সেল ২ এক্সএল ছবির মান নিয়ে প্রশংসা করেছেন। নিসাই নামে একজন লিখেছেন, আমার আইফোন ৬এস ফেলে দেবো। তার পরিবর্তে হাতে তুলে নেবো গুগল পিক্সেল।