বাজেট: কোন খাতে কতো বরাদ্দ

1181

এখন রিপোর্ট ।।

২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিশাল এই বাজেট প্রস্তাবনায় অবকাঠামো ও যোগাযোগ খাতে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেল ৩টা ৪২ মিনিটে বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।
এবারের বাজেট প্রস্তাবনায় খাতওয়ারি বিভাজনে বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ২৬ হাজার ৮৪৭ কোটি টাকা যা মূল বাজেটের ৭.৮৮ শতাংশ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ২২ হাজার ১৬২ কোটি টাকা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রণালয় ১৭ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা এবং অন্যান্য ১৯ হাজার ৪২২ কোটি টাকাসহ মানব সম্পদ খাতে সর্বমোট ৮৫ হাজার ৯১৮ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। যেখানে গত বছর এ খাতে ছিল ৬৬ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকা।

একইভাবে কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ৪৬ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা, বিদ্যুৎ ও জালানি খাতে ১৫ হাজার ৩৬ কোটি টাকা, যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে ৩৪ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা, ২১ হাজার ৬২ কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাত মিলে ৬২ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা।

এবারের বাজেটে ঋনাত্বক খাত হিসেবে সুদ পরিশোধে ৩৯ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা, পিপিপি, ভর্তুকি ও দায়ে ৭ হাজার ৫০৯ কোটি টাকা এবং নিটঋণদান ও অন্যান্য ব্যয়ে ১১ হাজার ৯৮১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেখানো হয়েছে।

সরকারের প্রধান আয়ের খাত ধরা হয়েছে রাজস্ব প্রাপ্তি থেকে। বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। যেখানে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৭৭ হাজার ৪শ’ কোটি টাকা। রাজস্ব আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এর মধ্যে করের মাধ্যমে আদায়ের টার্গেট ২ লাখ ৩ হাজার ১৫২ কোটি টাকা। যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৫০ হাজার কোটি টাকা বেশি। আর কর বহির্ভূত আয় ধরা হয়েছে ৭ হাজার ২৫০ কোটি টাকা।

উত্থাপিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী বৈদেশিক অনুদান প্রাপ্তির হিসাব দেখিয়েছেন ৫ হাজার ৫১৬ কোটি টাকা।

বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ৯৭ হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা; যা মোট বাজেটের ৫ শতাংশ। এ ঘাটতি বাজেটের অর্থায়ন করা হবে বিদেশ থেকে নেয়া ঋণ, ব্যাংক ঋণ ও ব্যাংক বহির্ভূত ঋণ থেকে। বিদেশ থেকে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩০ হাজার ৭৮৯ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নেয়া হবে ৩৮ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা। আর সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে নেয়া হবে ১৯ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। আর ব্যাংক বহির্ভূত ঋণ নেয়া হবে ২২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।