বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচটি শুরু হচ্ছে আগামী বৃহস্পতিবার। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি শুরু হবে সকাল সাড়ে নয়টায়। ২০১২ সালের পর প্রথমবার দ্বিপক্ষীয় সিরিজে মুখোমুখি হচ্ছে দেশ দুটি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাংলাদেশের পুরোন বন্ধু। দুদলের হিসেবের শুরু ২০০২ সাল থেকে। সে বছর দুই টেস্টেই নিজেদের মাটিতে হারে বাংলাদেশ। সেই থেকে মোট এখন পর্যন্ত টেস্টে ১৪ বার মুখোমুখি হয়েছে এই দুই দল। এর মধ্যে মাত্র ২টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। হেরেছে ১০ ম্যাচেই। বাকি দুইটি ম্যাচ ড্র হয়।
২০০৪ সালেও ক্যারিবিয়রা নিজেদের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশকে। তবে ২০০৯ সালে বদলে যাওয়া ইতিহাসের মুখোমুখি হয় দুই দল। ২০০৯ সালে উইন্ডিজের বিপক্ষে তাদের মাটিতে ২-০-তে ব্যবধানে সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। তাই নিজেদের মাটিতে উন্ডিজকে পেয়ে উন্নতর গ্রাফে থাকা বাংলাদেশ কতোটা নিজেদের এগিয়ে রাখতে পারবে তাই দেখার বিষয়।
তবে সর্বশেষ চলতি বছরের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিস সফরে দুই ম্যাচ টেস্টে সিরিজে ব্যাটিং ব্যর্থতায় বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে প্রতিশোধ নেয়ার পালা।
দুটি টেস্ট, তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচের এই সিরিজে ইনজুরি থেকে ফিরে যোগ দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। তবে ফিরতে পারেননি তামিম ইকবাল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আটকাতে অবশ্য নিজেদের শক্তিকেই কাজে লাগানোর পরিকল্পনা বাংলাদেশের। ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের স্পিন জালে আটকাতে চায় বাংলাদেশ। সাকিব কিছুটা অনিশ্চিত থাকলেও স্কোয়াডে আছে আরও তিন বিশেষজ্ঞ স্পিনার। তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা নাঈম হাসান।
বাংলাদেশের স্পি নিয়ে সতর্ক ক্যারিবিয়ানরা। সেই সাথে স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের ভয়ঙ্কর হিসাবেই দেখছেন সফরকারীরা।
