বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়

756

শ্রীলঙ্কান চন্দিকা হাতুরুসিংহে টাইগারদের ছেড়ে লঙ্কান দলের দায়িত্ব নিয়েছে দুইমাস হল। হাতুরুর বিদায়টা সুখকর ছিলনা বাংলাদেশ দলে ও সমর্থকদের জন্য। লঙ্কানদলের নিয়ে প্রথম অ্যাসাইনমেন্টেই হাতুরু এসেছে বাংলাদেশে। তাইতো সাবেক কোচেকে ‘জবাব’ দেয়ার বড়তি অনুপ্রেরণা নিয়েই শুক্রবার মাঠে নেমিছিল মাশরাফিবাহিনী।

মাঠের খেলায় কোনো কিছুকেই পাত্তা দিল না বাংলাদেশ। কোচ হারিয়ে মুষড়ে পড়া তো দূরের কথা, সাবেক কোচকে উল্টো তিক্ত অভিজ্ঞতাই উপহার দিলেন মাশরাফি, সাকিব, তামিমরা। ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাশরাফি বাহিনীর দাপুটে পারফরম্যান্সের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি হাথুরুসিংহের শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ ম্যাচটি জিতেছে ১৬৩ রানের বড় ব্যবধানে। এটি রানের হিসেবে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়।

তামিম ইকবাল (৮৪), সাকিব আল হাসান (৬৭) আর মুশফিকের রহিমের (৬২) হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ৭ উইকেটে ৩২০ রানের পাহাড়সম পুঁজি পায় বাংলাদেশ। জবাবে শ্রীলঙ্কা অলআউট হয়েছে মাত্র ১৫৭ রানে, ১৮ ওভারের মতো খেলা বাকি রেখে!

দুপুরে শের ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যটিংয়ে নেমে তামিম, সাকিব ও মুশফিকের ফিফটি ও সাব্বিরের ক্যামিওতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩২০ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে তামিম ১০২ বলে ৮৪, সাকিব ৬৩ বলে ৬৭, মুশফিক ৫২ বলে ৬২ , মাহমুদুল্লাহ ২৩ বলে ২৪ ও সাব্বির ১২ বলে ২৪ রান করেন। লঙ্কানদের হয়ে পেরেরা ৩টি ও প্রদীপ ২টি করে উইকেট লাভ করেন।

জয়ের জন্য ৩২১ রানের বিশাল লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই আউট লঙ্কান উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান কুশল পেরেরা। স্পিনার নাসির হোসেনকে তুলে মারতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফিরে যান কুশল। এরপর ক্রিজে আসেন কুশল মেন্ডিস। ১৯ রান করে মেন্ডিস আউট হন মাশরাফির বলে। এর আগে ১০ ওভারেও থারাঙ্গাকে ফিরিয়ে দেন মাশারফি। ১৯ তম ওভারে মুস্তাফিজ ডিকবেলাকে বোল্ড করলে চাপে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা। এরপর ধারবাহিক বিরতিতে আউট হন চান্দিমাল, গুনারত্নে, হাসারাঙ্গা, পেরেরা ও লাকমাল। টাইগার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নাভিশ্বাস উঠে যায় লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের।

বাংলাদেশের পক্ষে ৪৭ রানে ৩টি উইকেট নিয়েছেন সাকিব। মাশরাফি আর রুবেল হোসেন নেন ২টি করে উইকেট। একটি উইকেট মোস্তাফিজের।