বহিস্কার হয়েও পুলিশের পোশাক পরে ইয়াবার চালান আনতেন মাহফুজুর

পুলিশের চাকরি থেকে বহিস্কার হবার পরও পুলিশের পোশাক পরে নিয়মিত ইয়াবার চালান কক্সবাজার থেকে

706

পুলিশের চাকরি থেকে বহিস্কার হবার পরও পুলিশের পোশাক পরে নিয়মিত ইয়াবার চালান কক্সবাজার থেকে ঢাকায় এনে খুলনায় পৌছে দিতেন মাহফুজুর রহমান। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তার।
২০১৩ সালে চাকরিচ্যুতির পর মাসে দুই থেকে তিনবার করে ইয়াবার বড় চালান নিয়ে আসতেন মাহফুজুর। সর্বশেষ মঙ্গলবার (৭ মে) দিবাগত রাতে ১০ হাজার ১০০ পিস ইয়াবাসহ রাজধানীর আরামবাগ থেকে তাকে গ্রেফতার করেন র‌্যাব-২ এর সদস্যরা।

বুধবার (৮ মে) রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় আসা দেশ ট্রাভেলসের একটি বাসে তল্লাশি চালায় র‌্যাব-২। এ সময় পুলিশের ইউনিফর্মে এএসআই র‌্যাংক ব্যাজ পরা এক যাত্রীকে দেখে তার চাকরিস্থল ও আইডি কার্ড দেখতে চান র‌্যাব সদস্যরা। এ সময় তিনি চট্টগ্রামে সাক্ষ্য দিতে গিয়েছিলেন এবং তার পোস্টিং পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে বলে জানান। মাহফুজুর রহমান নামের ওই ব্যক্তির গলায় ঝোলানো পরিচয়পত্রে কনস্টেবল পদ এবং পরিচয়পত্রের সঙ্গে জন্ম তারিখ ও পুলিশের বিপি নম্বরের মিল না থাকায় তাকে তল্লাশি করা হয়। এক পর্যায়ে মতিঝিল থানা পুলিশ সদস্যদের সামনে তল্লাশি করে তার ব্যাগ থেকে ১০ হাজার ১০০ পিস ইয়াবা ও নগদ ৩১ হাজার ৮০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

পরে জিজ্ঞাসাবাদে কথিত এএসআই মাহফুজুর জানান, তিনি একজন বহিষ্কৃত পুলিশ সদস্য। একটি মামলায় ২৮ দিন জেল খাটেন এবং চাকরিচ্যুত হন। জেল থেকে বেরিয়ে ইয়াবা সেবনকারী থেকে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছেন।
মাহফুজুর আরও জানান, খুলনার এক মাদক ব্যবসায়ীর কথা অনুযায়ী সিভিল পোশাকে কক্সবাজারের গিয়ে তিনি হোটেলে অবস্থান করতেন। সেখানে তার কাছে ইয়াবার চালান পৌঁছে যেতো। পরে পুলিশের পোশাক পড়ে তিনি সেই ইয়াবা গন্তব্যে পৌঁছে দিতেন। প্রতিবার চালানের জন্য তাকে ২০-৫০ হাজার টাকা দেওয়া হতো।

র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক জানান, ২০০৭ সালে কনস্টেবল হিসেবে পুলিশে যোগ দেন মাহফুজুর। পরে তার বাজে আচরণের কারণে অতিষ্ট বাবার অভিযোগে ২৮ দিন খুলনা জেলা কারাগারে ছিলেন মাহফুজুর। ফৌজদারী অপরাধের জন্য ২০১৩ সালে চাকরিচ্যুত হন তিনি। তবে জেলখানাতে এক ইয়াবা ব্যবসায়ীর সঙ্গে পরিচয় হয় তার। সেই পরিচয়সূত্রেই ইয়াবার চালান পৌঁছে দেওয়ার কাজে যুক্ত হন তিনি।

তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন এবং খুলনার ওই মাদক ব্যবসায়ীকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান র‌্যাব-২ অধিনায়ক আশিক বিল্লাহ।