বর্ষায় প্রসাধনীর যত্ন

1143

বছর ঘুরে বর্ষা এলেই বাড়ে আবহাওয়ার আর্দ্রতা। স্যাঁতসেঁতে হয়ে ওঠে পরিবেশ। শুধু ঘরের দেয়াল, চামড়ার জুতা আর ব্যাগেরই ক্ষতিÿহয়, তা কিন্তু নয়। সাধের মেকআপ পণ্যগুলোর বারোটা বাজিয়ে দিতেও যথেষ্ট। তাই বর্ষায় সাজগোজের জিনিসগুলো আগলে রাখতে চাই বাড়তি যত্ন ও সচেতনতা।

যত্ন ও সংরক্ষণ
বর্ষায় পাউডার বেসড প্রোডাক্টের ব্যবহার বাড়ে। তাই এসব মেকআপ সংরক্ষণ করা চাই সঠিক উপায়ে। কমপ্যাক্ট, ফেস পাউডার, আইশ্যাডো কিংবা ব্লাশঅন—এমন জায়গায় রাখা চাই, যেখানে আলো-বাতাসের সহজ চলাচল সম্ভব। ড্রয়ার বা কাবার্ড—জায়গা যা-ই বেছে নেওয়া হোক না কেন, তা যেন স্যাঁতসেঁতে না হয়। হতে হবে শুকনো এবং আর্দ্রতামুক্ত।

ঢাকনায় ঢাকুন
অনেকেই আলসেমি করে কসমেটিকসের ছিপি আঁটতে ভুলে যান। ঢাকনাও লাগানো হয় না ঠিকমতো। এতে করে বর্ষার স্যাঁতসেঁতে বাতাসের ব্যাকটেরিয়া খুব সহজেই কসমেটিকসের সংস্পর্শে চলে আসে। ফলাফল পণ্যগুলোতেও স্যাঁতসেঁতে ভাব দেখা দেয়। পাউডার জাতীয় পণ্যগুলো ভিজে ওঠে। এর কার্যকারিতা কমে যায়। দ্রুত নষ্টও হতে শুরু করে। তাই প্রতিবার ব্যবহারের পর মনে করে প্রতিটি পণ্যের ঢাকনা শক্ত করে এঁটে দিন।

.জিপ ইট আপ
বর্ষায় বাইরে বেরোতে হয় হরহামেশাই। সে ক্ষেত্রে হুট করে শুরু হয়ে যাওয়া বৃষ্টিতে সঙ্গে থাকা মেকআপ পণ্যগুলো ভিজে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। একটা পানিরোধক ব্যাগ অথবা পাউচে পুরে নেওয়া যেতে পারে কসমেটিকগুলো। এতে করে বৃষ্টি থেকে রক্ষা পাবে। খুব সহজে আলাদা করে সংরক্ষণও করা যাবে। কসমেটিকস ছাড়াও মেকআপ ব্রাশগুলোও সাবধানে রাখবেন বর্ষায়। এগুলো নিজস্ব¦ আকার হারিয়ে নষ্ট হতে শুরু করে। তাই ব্রাশগুলোও আলাদা পাউচে সংরক্ষণ করা উচিত। তারপর পাউচটি পুরে রাখুন শুকনো কোনো জায়গায়। এতে আর্দ্রতা ও ফাঙ্গাসমুক্ত থাকবে ব্রাশগুলো।

ব্লো ড্রায়ারের ব্যবহার
সচেতন থাকার পরও যদি কসমেটিকস কিংবা ব্রাশ বর্ষায় ভিজেই যায়, তাহলেও রয়েছে সহজ সমাধান। ব্লো ড্রায়ার ব্যবহার করে শুকিয়ে ফেলুন। তবে খুব বেশি কিংবা ঘন ঘন শুকাতে যাবেন না। এতে হিতে বিপরীত হবে। রং নষ্ট হয়ে ব্যবহারের অনুপযোগীও হয়ে যেতে পারে।

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ
বর্ষায় নির্দিষ্ট সময় পরপর যাচাই-বাছাই করে নেওয়া চাই প্রয়োজনীয় কসমেটিকগুলো। স্যাঁতসেঁতে হয়ে ভিজে ওঠা, রং কিংবা গন্ধের পরিবর্তন হলেই বুঝতে হবে, মেকআপগুলোতে ব্যাকটেরিয়া কিংবা ফাঙ্গাসের সংক্রমণ হয়েছে। এটা ব্যবহারে ত্বকে দেখা দিতে পারে ইনফেকশন কিংবা অ্যালার্জি। সে ক্ষেত্রে নষ্ট হয়ে যাওয়া পণ্যগুলো ফেলে দেওয়াই ভালো।

লেখক: পরিচালক, পারসোনা