পৌরসভার গেস্ট হাউসে রমরমা অনৈতিক আখড়া

656

‘মনোরম পরিবেশে আধুনিক, সুসজ্জিত ও সব রকমের সুবিধাযুক্ত গেস্টহাউসে থাকার সুযোগ নিন। এসি/নন-এসি রুম পাওয়া যাবে।’ ওই লেখা সংবলিত একটি বিজ্ঞাপন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার কোন্নগর শহরজুড়ে অনেকদিন ধরেই দেখা যাচ্ছিল। বিজ্ঞাপনটি দিয়েছিল কোন্নগর রেল স্টেশনের নিকটবর্তী ‘বিশ্রামিকা গেস্ট হাউস’। আর সেই গেস্ট হাউসেই দেহ ব্যবসা চলছিল দাবি করেছে কলকাতা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

১১ জুলাই, বুধবার সন্ধ্যায় সিআইডির একটি দল ওই গেস্টহাউস থেকে ৫ তরুণীকে উদ্ধার করার পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ওই সময় ৪ ব্যক্তিকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।

সিআইডির বরাত দিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে জানানো হয়, ওই ৫ তরুণীকে কাজের টোপ দিয়ে তাদের গেস্ট হাউসে নিয়ে আসা হতো। প্রথমে মোবাইলে তাদের ছবি তোলা হতো। তারপর হোয়াটসঅ্যাপে বিভিন্ন গ্রাহকদের কাছে পাঠানো হতো সেই ছবি।

ছবি দেখে পছন্দ হলে বিশ্রামিকা গেস্টহাউসে যেতেন গ্রাহকেরা। এরপর ওই তরুণীদের যৌন সম্পর্ক করতে বাধ্য করা হতো। পরবর্তী সময়ে খবর পেয়ে সিআইডি এক ব্যক্তিকে গ্রাহক সাজিয়ে ওই গেস্ট হাউসে পাঠায়। পরে নকল গ্রাহকের মাধ্যমেই এ ঘটনা ফাঁস হয়।

সিআইডির দাবি, উদ্ধার হওয়া ৫ তরুণীকে দিল্লিতে পাচার করার পরিকল্পনা ছিল। ওই গেস্ট হাউসের বিভিন্ন ঘর থেকে প্রচুর কনডম, পর্ন ভিডিও পাওয়া গিয়েছে।

পুলিশের দাবি, পর্নোগ্রাফিও শুট করা হতো ওই গেস্ট হাউসে।