পরিবেশ রক্ষায় অবদানের জন্য এক নারীর পুরস্কার জয়

892

shahida2শাহিদা খান

পরিবেশ রক্ষায় অবদানে যে নারী পুরস্কার পেতে যাচ্ছে তার নাম হলো লি অ্যানে ওয়াল্টার। তিনি সহ এ বছর ৭ জন পরিবেশ রক্ষায় অবদানে গোল্ডম্যান পরিবেশ পুরস্কার পাচ্ছেন।

এই ৭ জনের মধ্যে লি অ্যানে ওয়াল্টারের ভূমিকা বেশি। তিনি মিশিগানের ফিল্টের অধিবাসী। ২০১৫ সালে তিনি যখন রান্নাঘরে ট্যাপে পানি ভরছিলেন,পানির রং ছিল বাদামি যা তার কাছে স্বাভাবিক মনে হয়নি। তিনি বার বার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করে কিন্তু কোন ফল পায়নি। এমনকি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তিনি এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাঠান। অবশেষে ভার্জিনিয়ার একটি প্রযুক্তি গবেষক দল ও একজন স্থানীয় ডাক্তার তার ডাকে সাড়া দেন। তারা ঐ পানি পরীক্ষা করে এবং সেখানে বিষাক্ত সীসা দেখতে পায়।

এ বছরের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে গোল্ডম্যান এনভারনমেন্টাল ফাউন্ডেশন জানায়,ওয়াল্টার সেখানকার পানিতে কি সমস্যা হয়েছে সেটা জানতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন,সেটা কেবল তার নিজের পরিবারের জন্য নয়। ফ্লিন্টের সব অধিবাসীদের জন্য লড়াই করে গেছেন তিনি।

১৯৮৯ সালে সান ফ্রান্সিস্কোর ফিল্যান্‌হ্রোপিস্টস রিচার্‌ড এবং রোডা গোল্ডম্যান এই পুরস্কার চালু করেন। বিভিন্ন পরিবেশ সংগঠনের মনোনয়ন থেকে বিজয়ীদের বেছে নেওয়া হয়। পুরস্কারের মুল্য ২ লাখ মার্কিন ডলার।

ওয়াল্টার এখন ভার্জিনিয়াতে থাকেন। কিন্তু ফ্লিন্টে প্রায়ই যান। ২০১৫ সালে তার অভিযোগ সত্য প্রমাণ হওয়ার পর সেখানে লাখো পানির পাইপ লাইন বদলে ফেলা হয়।

ওয়াল্টার ছাড়া অন্যান্য বিজয়ীরা হলেন কলোম্বিয়ার ফ্রান্সিয়া মারকুয়েজ। তিনি সোনার খনি বন্ধের দাবিতে কোঁকা এলাকায় নারীদের উৎসাহিত করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছিলেন।

ফ্রান্সের ক্লেয়ার ন্যুভা,তিনি গভীর সমুদ্রে জাল দিয়ে মাছ ধরার বিরুদ্ধে সফল প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার লিজ ম্যাকডেইড ও মাকোমা লেকালাকালা,তারা তাদের দেশ ও রাশিয়ার মধ্যে পারমাণবিক চুল্লি স্থাপনের বিষয়ে চুক্তি বন্ধে লড়ায় করে যাচ্ছেন।

ফিলিপাইনের ম্যানি কালোনসো সীসা পেইন্ট নিষিদ্ধ করার দাবিতে কাজ করে যাচ্ছেন।

সর্বশেষ বিজয়ী হলেন ভিয়েতনামের খান গুই থি। তিনি কয়লা জ্বালানির উপর নির্ভরশীলতা কমাতে বৈজ্ঞানিক গবেষণা করছেন।