পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী

605

লেজার পদার্থবিদ্যার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী আবিষ্কারের জন্য চলতি বছর যৌথভাবে পদার্থে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন তিন বিজ্ঞানী।

বিজয়ীরা হলেন মার্কিন পদার্থ বিজ্ঞানী আর্থার আস্কিন, ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী জিরার্ড ম্যুরো ও কানাডার পদার্থবিজ্ঞানী ডন্না স্ট্রিকল্যান্ড।

লেজার পদার্থবিদ্যার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী উদ্ভাবনের জন্য যৌথভাবে এ পুরস্কার পেলেন তারা। তবে এবারের পুরস্কারের ৯০ লাখ সুইডিশ ক্রোনারের অর্ধেক পাবেন মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী আর্থার অ্যাশকিন। বাকি অর্থ ভাগাভাগি করে নেবেন অপর দুই বিজ্ঞানী।

মঙ্গলবার রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি সুইডেনের স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় এ তিন বিজ্ঞানীর নোবেল জয়ের ঘোষণা দিয়েছে।

রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি বলছে, লেজার পদার্থবিদ্যার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী আবিষ্কারের জন্য যৌথভাবে এ পুরস্কার পেলেন তারা।

ড. অ্যাশকিন অপটিক্যাল টুইজার নামে একটি লেজার টেকনিক উদ্ভাবন করেছেন; যা বায়োলজিক্যাল সিস্টেম গবেষণায় ব্যবহার করা হয়।

অন্যদিকে, ফরাসী পদার্থবিজ্ঞানী জিরার্ড ম্যুরো ও কানাডার নারী পদার্থবিজ্ঞানী ডোনা স্ট্রিকল্যান্ড উচ্চ তীব্রতা ও অতি ক্ষুদ্র লেজার পালস তৈরির উপায় উদ্ভাবন করেছেন; যা বিভিন্ন ধরনের কাজ করে। এর মধ্যে একটি হলো, চোখের লেজার সার্জারি।

গত ৫৫ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম নারী হিসেবে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার জয়ী হলেন কানাডার পদার্থবিজ্ঞানী ডোনা স্ট্রিকল্যান্ড। এর আগে ১৯০৩ সালে পদার্থবিদ্যায় প্রথম নারী হিসেবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন ম্যারি কুরি। সর্বশেষ ১৯৬৩ সালে জার্মান বংশোদ্ভূত মার্কিন তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী মারিয়া গ্যোপের্ট-মায়ার দ্বিতীয় নারী হিসেবে পদার্থের নোবেল পান।

নোবেল কমিটি ১৯০১ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত ১১২ বার পদার্থে নোবেল পুরস্কার দিয়েছে। জার্মান বংশোদ্ভূত রেইনার ওয়েইস ও মার্কিন দুই বিজ্ঞানী ব্যারি সি ব্যারিশ এবং কিপ এস থোর্নে গত বছর মহাকর্ষীয় তরঙ্গ অনুসন্ধানের স্বীকৃতিস্বরূপ যৌথভাবে পদার্থে নোবেল জিতেন।