‘নির্ধারিত ১২১টি স্টপেজ ছাড়া বাস থামাতে পারবে না’

661

ঢাকার সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে মোট ১২১টি বাস স্টপেজের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব স্টপেজ ছাড়া কোথাও বাস না থামানোর নির্দেশ দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

এছাড়া হেলমেট ছাড়া কোনো রাইডারকে পাম্প থেকে তেল না দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।

কমিশনার বলেন, “আমরা বাস থামানোর জন্য ১২১টি স্থান নির্ধারণ করেছি। এগুলোতে বোর্ড লাগানো হচ্ছে। এসব স্থানের বাইরে কেউ বাস থামাতে পারবে না। পাশাপাশি বাস স্টপেজ ছাড়া কোথাও বাসের দরজা খুলবে না, বন্ধ থাকবে। যাত্রীরাও বাস স্টপেজ ছাড়া অন্য কোথাও নামতে পারবেন না।”

তিনি বলেন, “আমরা ইতিমধ্যে পেট্রোল পাম্প মালিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা হেলমেট না থাকলে তেল না সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।”

সেপ্টেম্বরকে ট্রাফিক মাস ঘোষণার বিষয়ে কমিশনার বলেন, “আইন না মানার প্রবণতা এদের জনগণের সবচেয়ে বড় সমস্যা। আমরা সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো, যানজট নিয়ন্ত্রণ এবং সচেতনতা তৈরির জন্য আমাদের এ ট্রাফিক মাস ঘোষণার উদ্যোগ। পুলিশের এ উদ্যোগে সহায়তা করবে রোভার্স স্কাউট, গার্লস গাইড এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্স সোসাইটি।”

তিনি আরও বলেন, “এমাসেই জাহাঙ্গীর গেইট থেকে জিরো পয়েন্ট রুটে অটো ট্রাফিকিং ব্যবস্থা চালু করা হবে। স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিংয়ের মাধ্যমে এ সড়কের যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এটি আমরা মডেল প্রোজেক্ট হিসেবে নিয়েছি। পর্যাক্রমে অন্যান্য রুটেও এ ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, “আমরা দেখেছি ঢাকার বাইরের অনেক রিকশা ঢাকায় চলাচল করছে। এগুলো পেলে সঙ্গে সঙ্গে আটক করা হবে। এছাড়াও ঢাকার মূল সড়কে কোনো লেগুনা চলাচলের কথা না। আমরা কোনভাবেই ঢাকা মহানগরের মূল সড়ক দিয়ে লেগুনা চলাচল করতে দেবো না।”

ফুটপাথের অবৈধ দোকান বসানোর কারণে পথচারীদের বাধ্য হয়ে রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। এবিষয়ে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, “আপনার তথ্য সঠিক। ভলকানাইজিংয়ের দোকানের কারণে পথচারীরা ফুটপাথ দিয়ে হাঁটতে পারেন না। এবিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ইতিমধ্যে রাজউক এবং সিটি করপোরেশনকে বলা হয়েছে। তারা ব্যবস্থা নেবে।”

যাত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “সড়কে যাত্রীরা যত্রযত্র দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে পারবেন না। তাদের শুধুমাত্র জেব্রা ক্রসিং কিংবা বাস স্টপেজে দাঁড়াতে হবে। এছাড়াও প্রতিটি বাসের সামনে ড্রাইভারের ছবি ও ফোন নম্বর থাকতে হবে। বাস ড্রাইভার সিটবেল্ট বেঁধে গাড়ি চালাবেন। চুক্তিভিত্তিক নয়, বাসের ড্রাইভার হবে বেতনভুক্ত।”

ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ অভিযান নিয়ে কমিশনার বলেন, “যানবাহনে অবৈধভাবে ফ্ল্যাগস্ট্যান্ড লাগিয়ে আইন লঙ্ঘন করা যাবে না। অনুনমোদিত কোনো ব্যক্তি ফ্ল্যাগস্ট্যান্ড ব্যবহার করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়াও রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কের সাইডে চেকপোস্ট করে আইন অমান্যকারী যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”