নিজেরা কাগজ কিনে পরীক্ষা দিয়েছে কুবি শিক্ষার্থীরা

617

কুবি প্রতিনিধি
উত্তরপত্ত সংকটে নিজেরা কাগজ কিনে মিডটার্ম পরীক্ষা দিতে হয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) মার্কেটিং বিভাগের ৮ম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের।
শিক্ষার্থীরা জানান, গত ২৫ সেপ্টেম্বর তাদের মার্কেটিং-৫২৫ কোর্সের মিডটার্ম পরীক্ষা ছিল। কিন্তু পরীক্ষা দিতে গিয়ে তারা জানতে পারেন যে বিভাগে মিডটার্মের উত্তরপত্র নেই। পরবর্তীতে তারা দোকান থেকে কাগজ কিনে পরীক্ষা দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক মেহেদী হাসান জানান, “আমরা কিছুদিন যাবত বিভাগে উত্তরপত্র সংকটে ভুগছি। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তর থেকে আমরা চাহিদামতো কাগজ পাচ্ছিনা। কিছুদিন আমরা সান্ধ্যকালীন কোর্সের উত্তরপত্র দিয়ে কাজ চালিয়েছি। কিন্তু সেদিন আর কোথাও উত্তরপত্র না থাকায় বাইরে থেকে কেনা কাগজেই শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিয়েছে।”
শুধু মার্কেটিং বিভাগেই নয় এমন উত্তরপত্র সংকটের কারনে পরীক্ষাগুলো নিতে অনেক বিভাগই সমস্যায় পড়ছে বলে জানা গেছে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তর থেকে বিভাগগুলোর চাহিদা অনুযায়ী উত্তরপত্র না পাওয়ার কারনেই এমটা ঘটছে বলে জানিয়েছে বিভাগগুলোর শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ।
দপ্তর থেকে চাহিদা অনুযায়ী খাতা না আসা প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ নূরুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘নতুন অর্থবছরের জন্য যে নতুন উত্তরপত্র আমরা টেন্ডারের মাধ্যমে বরাদ্দ পাওয়ার কথা তা এখনও পাইনি। আমরা সাময়িকভাবে উত্তরপত্র মুদ্রন করে বিভাগগুলোতে সরবরাহ করছি। তাই তাদের চাহিদা অনুযায়ী উত্তরপত্র দিতে পারছি না। তবে আমরা চেষ্টা করছি যেন কোনো বিভাগে পরীক্ষা নিতে কোনো সমস্যা না হয়।’
এদিকে নতুন অর্থ বছরের (২০১৯-২০) তিন মাস অতিবাহিত হলেও এখনও নতুন উত্তরপত্র ক্রয়ের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়নি।
টেন্ডার প্রক্রিয়া থেমে থাকা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক ড. শাহাবুদ্দিন বলেন,”আমরা টেন্ডার আহ্বান করেছি। কিছুদিনের মাঝেই টেন্ডারপ্রক্রিয়া শেষ হবে৷
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোঃ আবু তাহের জানান, “উত্তরপত্র সংকটের জন্য এখনো কোনো বিভাগে পরীক্ষা বন্ধ হয়নি। তবে মার্কেটিং বিভাগে কেন বাইরে থেকে কাগজ কিনে পরীক্ষা নিতে হয়েছে সেটা আমার জানা নেই। আমি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে খোঁজ নেব যে মার্কেটিং বিভাগ চাহিদাপত্র দিয়েও উত্তরপত্র পায়নি, নাকি চাহিদাপত্র না দিয়েই বাইরে থেকে খাতা আনিয়ে পরীক্ষা নেয় হয়েছে।”